ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তরের কারণে প্রচলিত প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা আগামী দিনের পেশার কাজে লাগবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, আইওটি, বিগডাটা, রোবটিকস, ব্লকচেইন ইত্যাদি প্রযুক্তির দক্ষতা অর্জন করাই হবে আগামী দিনের সভ্যতায় টিকে থাকার হাতিয়ার। এই লক্ষ্যে প্রচলিত পাঠ্যক্রম, পাঠদান পদ্ধতি ও প্রশিক্ষণের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিরূপণসহ প্রশিক্ষণের আমূল পরিবর্তন করতে হবে।
মঙ্গলবার ( ১৫ ডিসেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়রের অধীন সব দফতর, অধিদফতর, পরিদফতর, কল্যাণ ফাউন্ডেশন ও ইনস্টিটিউটে ই-ট্রেনিং ও সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বহুমাত্রিক সেবার অনলাইনভিত্তিক পরিচালনা, কেন্দ্রীয় মনিটরিং ব্যবস্থা, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন সংক্রান্ত বিষয়ে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আখতার হোসেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাব উদ্দিন ও যুব উন্নয়ন অধিদফতরের মহাপরিচালক আকতারুজ্জামান খান কবির অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে যুগান্তকারী একটি উদ্যোগ। এই উদ্যোগের সঙ্গে টেলিটক প্রযুক্তিগত সমর্থন উদ্যোগটির সফলভাবে বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখবে। এই ব্যাপারে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিটিসিএল, সাবমেরিন ক্যাবল কিংবা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমরা সেক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখতে পিছ পা হবো না। বাংলাদেশে ডিজিটাল বৈষম্য কমাতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে।’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্যোগ মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন। তিনি দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল প্রশিক্ষণ সম্প্রসারণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
চুক্তি অনুযায়ী সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্মে প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার অ্যাপলিকেশন ও হার্ডওয়্যার সাপোর্ট প্রদান করবে টেলিটক। এই প্ল্যাটফর্ম সার্ভে, গবেষণা ও উদ্ভাবনী সেবার উন্নয়ন ও সম্পৃক্তকরণে উন্মুক্ত রাখা হবে। এসব কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে নিয়মিত করপোরেট মোবাইল ফোন সেবার পাশাপাশি সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্মে সার্ভিস মডিউল সমন্বয় করা হবে।