বয়স ৩৭ বছর হয়ে গেছে নোভাক জোকোভিচের। বেশি দিন যে খেলবেন না সেটার আগাম ইঙ্গিতই হয়তো দিয়ে দিলেন তিনি। মাদ্রিদ ওপেনে দ্বিতীয় রাউন্ডে বিধ্বস্ত হওয়ার পর জানিয়েছেন, হয়তো এটাই ছিল মাদ্রিদ ওপেনে তার শেষ অংশগ্রহণ!
তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ শনিবার ইতালির মাত্তেও আরনালদির কাছে পরাজিত হয়েছেন। চতুর্থ বাছাইয়ের কাছে ৬-৩, ৬-৪ গেমে হেরেছেন তিনি। তার পরেই জানান, এই টুর্নামেন্টে আর ফিরবেন কিনা সেটা নিশ্চিত নন তিনি।
ট্যুর পর্যায়ে শততম শিরোপা জয়ের খোঁজে থাকা জোকোভিচ মার্চের শেষে মায়ামি ওপেনেও অপ্রত্যাশিত হার দেখেছেন। তার পর এই মাসে মন্তে কার্লোতেও বিদায় নিয়েছেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। টানা তিনটি পরাজয়ই এসেছে সরাসরি সেটে। তাই টানা পরাজয় জোকোভিচকে ভালোবোধ করতে দিচ্ছে না, ‘অবশ্যই এভাবে হারলে তো ভালো লাগবে না। তবে এই বছর আমার এমন কয়েকটা অভিজ্ঞতা হয়েছে,যেখানে প্রথম রাউন্ডেই দুর্ভাগ্যবশত হেরেছি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এখানে ইতিবাচক দিক হলো মন্তে কার্লো বা অন্য টুর্নামেন্টের চেয়ে নিজেকে বেশি উপভোগ করেছি। কিন্তু যে পর্যায়ে আমার টেনিস থাকার কথা, সেখানে তা নেই। তবে এটাই সত্যি। আমি ভালো খেলোয়াড়ের কাছে হেরেছি।’
জোকোভিচ মাদ্রিদে প্রথম অংশ নেন ২০০৬ সালে। টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছেন ২০১১, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে। প্যারিস অলিম্পিকে কার্লোস আলকারেজকে হারিয়ে সোনা জেতার পর ক্লে কোর্টে প্রথম সোনা জয়ের খোঁজে নেমেছিলেন। ব্যর্থ হওয়ায় মাদ্রিদে এটি তার শেষ ম্যাচ কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সংশয় রেখে বলেছেন, ‘হতে পারে। আমি নিশ্চিত না যে আবার ফিরবো কিনা। তাই জানি না কী বলবো।’
তিনি তার পরেই বলেছেন, ‘ফিরতে পারি, তবে একজন খেলোয়াড় হিসেবে হয়তো নয়। এমনটা আশা করি না, কিন্তু সেটা হতেও পারে।’
২০২৩ সালে চারটি বড় টুর্নামেন্টের মধ্যে তিনটি জয়ী হওয়া সত্ত্বেও এরপর থেকে সেই ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি জোকোভিচ। তার জায়গায় শিরোপা জেতেন ইয়ানিক সিনার ও কার্লোস আলকারেজ। জোকোভিচ স্বীকার করে নিচ্ছেন সেই বাস্তবতা, ‘এটা আমার জন্য নতুন বাস্তবতা, এটা বলতে হবে। এখন ম্যাচ জেতার জন্য লড়ছি, আর বেশি দূর যাওয়ার কথা ভাবছি না। ২০ বছরেরও বেশি পেশাদার টেনিস ক্যারিয়ারের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন এক অনুভূতি, তাই এটা আমার জন্য মানসিকভাবে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যখন নিয়মিতই টুর্নামেন্টের শুরুতেই বিদায় নিতে হচ্ছে। কিন্তু এটাই জীবনচক্র আর ক্যারিয়ারের চক্র, শেষ পর্যন্ত এটা ঘটারই কথা ছিল।’