নেপালের ললিতপুরের সাতদোবাতোয় তায়কোয়ান্দো হলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে দুর্দান্ত কামব্যাক করেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল। স্বাগতিক নেপালের কাছে প্রথম দুই ম্যাচ হেরে দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল শ্রাবণী-বৃষ্টিদের। দমে যায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। ভ্রমণ ক্লান্তির কারণে প্রথম ম্যাচে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে চোখে চোখ রেখে খেলছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। আর আজ তৃতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত জয় দিয়ে সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে তারা পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলে ২৬-২৩ পয়েন্টে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে তেঁতে ছিলেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। আজকের ম্যাচে শুরু থেকেই দারুণ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল। রিভিউ সফলের মাধ্যমে ম্যাচের প্রথম পয়েন্ট পায় বাংলাদেশ। এরপর সুপার রেইড করে শ্রাবণী চারজন খেলোয়াড়কে বাইরে পাঠিয়ে চার পয়েন্ট আদায় করে নেন। এখান থেকেই যেন বাংলাদেশ ম্যাচে আত্মবিশ্বাসের রসদ পেয়ে যায়।
প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে সুপার ট্যাকল করেও বাড়তি পয়েন্ট আদায় করে নেয় বাংলাদেশ। দারুণ জমে উঠে বাংলাদেশ ও নেপালের খেলা। তবে পাঁচ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। নেপালের ১৫ পয়েন্টের বিপরীতে বাংলাদেশের ছিল ১০ পয়েন্ট।
বিরতির পর আরও উজ্জীবিত বাংলাদেশ দল। ম্যাচে লিড নেয় সফরকারীরা। দ্বিতীয়ার্ধে একটি লোনাও পায় বাংলাদেশ। একটা সময় বাংলাদেশের পয়েন্ট দাঁড়ায় ১৮। আর নেপালের পয়েন্ট প্রথমার্ধের ১৫-ই থাকে। বাকিটা সময়ে লিড ধরে রেখেই এগিয়ে যেতে থাকে বাংলাদেশ।
জয় পেতে যে কতটা মরিয়া ছিল বাংলাদেশ, সেটা প্রতিটা খেলোয়াড়ের চোখে মুখেই ফুটে ওঠে। বাংলাদেশকে কোণঠাসা করতে ম্যাচে আক্রমণাত্মক পথ বেছে নেয় নেপালের খেলোয়াড়রা। ম্যাচের যখন দুই মিনিট বাকি তখন শ্রাবণীকে জোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন নেপালের অধিনায়ক। আহত হন বাংলাদেশের অধিনায়ক শ্রাবণী মল্লিক। বুকে ব্যথা নিয়ে বাইরে চলে গেলেও কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে আসেন তিনি। শেষ দিকে তুমুল লড়াই হয়েছে দুইদলের মাঝে। কিন্তু হাসি নিয়ে খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ দল।
আগামীকাল কোনও খেলা নেই। সিরিজের বাকি দুই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ২৪ ও ২৫ এপ্রিল।