টেবিল টেনিস ফেডারেশনে অ্যাডহক কমিটি এসেছে বেশি দিন হয়নি। একটি টুর্নামেন্ট করে সেই প্রতিযোগিতা থেকেই বাছাইকৃত খেলোয়াড় নিয়ে আগামীকাল সাউথ এশিয়ান জুনিয়র টিটি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে নেপাল যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। এই উপলক্ষে আজ বিওএ ভবনে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। নেপালে ফাইনালে উঠার লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে সংবাদ সম্মেলনে বেশিরভাগ সময় আগের কমিটির অনিয়ম-দুর্নীতি ও সামনের পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে বেশি। ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটি ‘ট্রেইন এন্ড টেস্ট’ পলিসির মাধ্যমে এগিয়ে যেতে চায়।
অ্যাডহক কমিটি দায়িত্ব গ্রহণের সময় ফেডারেশনের কোষাগারে কোনও তহবিলই ছিল না। সাড়ে চার লাখ টাকা ঋণের বোঝা নিয়েছে তারা। এছাড়া নেই কোনও হিসাব নিকাশও। বিগত সময়ের আর্থিক বিষয়াদি তদন্তের কথা জানিয়েছেন নতুন সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আহমেদ সনেট।
তার বক্তব্য, ‘আমরা মাইনাস তহবিল দিয়ে শুরু করেছি। আগের টাকা খরচের কোনও রেকর্ড নেই। মাইনাস তহবিল। দুজন টাকা পাবে। সাড়ে চার লাখ টাকা। এখন আমাদের দিতে হবে সেই টাকা। আমরা বিস্মিত হয়েছি। মাইনাস তহবিল দেখে আমরা অবাক। কীভাবে চলেছে তাহলে কার্যক্রম। তদন্তটা এনএসসি থেকে করলে ভালো হয়। তারা না করলে আমরা করবো। অডিটও হবে। তদন্ত হবে। ছেড়ে দেবো না আমরা।’
এরপরই দুর্নীতি-অনিয়ম নিয়ে তার কথা, ‘আমরা যখন ছেড়ে যাবো তখন যেন সব স্বচ্ছ থাকে। এখন খেলার উপকরণও নেই। ১৪টার জায়গায় ৬টা টেবিল আছে। ইসিতে অডিট পাস হয়েছে। তা করলে পরিষ্কার হবে কী পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে।’
আগের কমিটিতে হাসান মুনীর সুমনকে নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। এবারও সহ সভাপতি হয়ে আছেন তিনি। তার দিকে ইঙ্গিত করে সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘ওনাকে দায়িত্বে রাখবো না। প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আমরা আবর্জনার স্তুপ সরিয়ে টেবিল টেনিসকে এগিয়ে নিতে চাই।’
এটা পরিষ্কার যে, এখন কমিটিতে ওএসডি থাকছেন সুমন।
এদিকে খেলোয়াড়দের অনুশীলনে রাখার পাশাপাশি প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে পরখও করবে ফেডারেশন।
টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এএম মাকসুদ আহমেদ (সনেট) এই নীতিকে ‘ট্রেইন অ্যান্ড টেস্ট’ পলিসি আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘খেলাধুলায় প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। আমরা অবশ্যই খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণে রাখবো। সেখানে ফিটনেসের ওপর বাড়তি জোর থাকবে। প্রশিক্ষণার্থীরা কতটুকু উন্নতি করলেন সেটা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যাচাই হবে। আমরা ‘ট্রেইন অ্যান্ড টেস্ট’ পলিসিতে এগোতে চাই।’
নতুন কমিটির শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিতের দাবি করে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিযোগিতা এবং র্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে যারা শীর্ষ খেলোয়াড়, তারাই জাতীয় দলে সুযোগ পাবেন। এর কোনও ব্যতিক্রম হবে না। পাতানো খেলা, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ জাতীয় কিছুতে আমাদের জিরো টলারেন্স থাকবে। বড় ধরনের শাস্তির ব্যাপারে আমরা ফেডারেশন থেকে রেজুলেশন্স নিচ্ছি।’