নেপালে ২০১৯ সালে সবশেষ সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস হয়েছিল। তার পর আর আসর গড়ায়নি। নানান কারণে শুধু পিছিয়েছে। এবার আয়োজকরা সভা করে পাকিস্তানে নতুন করে গেমসের সূচি চূড়ান্ত করেছে। লাহোরে মঙ্গলবারের সভায় আগামী বছরের ২৩-৩১ জানুয়ারি গেমস আয়োজনের সূচি ঠিক করা হয়েছে।
লাহোরে এসএ গেমস সংক্রান্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের উপ-মহাসচিব আশিকুর রহমান মিকু ও নির্বাহী সদস্য সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর। লাহোর থেকে সিরাজউদ্দিন মো. আলমগীর সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘২৩-৩১ জানুয়ারি গেমসের সূচি নির্ধারিত হয়েছে। গেমস অনুষ্ঠিত হবে লাহোর, ফয়সালাবাদ ও ইসলামবাদের তিন শহরে। আজকের সভায় গেমসের ডিসিপ্লিনও চূড়ান্ত হয়েছে। কোন শহরে কোন ডিসিপ্লিন হবে এটা পরবর্তীতে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
২০১৯ সালে নেপালের কাঠমান্ডু ও পোখারায় সর্বশেষ এসএ গেমসে হকি ছিল না। আসন্ন গেমসে হকি ফিরছে। আজকের সভায় অনুমোদিত ডিসিপ্লিনগুলো হচ্ছে– ফুটবল, হকি, অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, ভলিবল, বাস্কেটবল, হ্যান্ডবল, ক্রিকেট (টি-২০), আর্চারি, বক্সিং, ফেন্সিং, গলফ, জুডো, কারাতে, শ্যুটিং, স্কোয়াশ, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ান্দো, টেনিস, ট্রায়াথলন, ভারত্তোলন, কুস্তি, উশু, কাবাডি ও রাগবি।
আজকের সভায় বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কার অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের কর্মকর্তারা সকল ডিসিপ্লিনে অংশগ্রহণের বিষয়টি মৌখিকভাবে নিশ্চিত করেছেন।
পাকিস্তানের এসএ গেমসে ভারত অংশ নেবে কিনা সংশয় রয়েছে। আজকের সভায় তাদের কোনও প্রতিনিধি সরাসরি যোগ দেননি। অনলাইনে ছিলেন। তবে বাংলাদেশের কর্মকর্তা সিরাজউদ্দিন আলমগীর বলেছেন, ‘সভায় ভারত অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা জুমে যুক্ত হয়েছিল। তারা গেমসে অংশগ্রহণের ব্যাপারে এখনও ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। পাকিস্তান সরকারও গেমস আয়োজনের জন্য পাকিস্তান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে সহায়তা করছে। অন্য দেশগুলোও খেলতে আগ্রহী। সব মিলিয়ে আসন্ন গেমস আলোর মুখ দেখার সম্ভাবনা রয়েছে।’