৪৮ তম জাতীয় অ্যাথলেটিকসে ৪০০ মিটার স্প্রিন্ট নিয়ে আগের দিন নাটক কম হয়নি। বদলে দিতে হয়েছে সূচি। এবার সর্বোচ্চ ৬টি হিটে অংশ নেন সর্বোচ্চ ৪৮ জন অ্যাথলেট। এত অ্যাথলেটের ভিড়ে অবশ্য জহির রায়হানকে কেউ হারাতে পারেনি। ১০ম বারের মতো শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখেছেন নৌবাহিনীর এই অ্যাথলেট।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে ৪৭ দশমিক ৫৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম স্থান পেয়েছেন জহির রায়হান। যদিও এটা সেরা টাইমিং হয়নি। ২০১৯ সালে জাতীয় অ্যাথলেটিকসে রেকর্ড ৪৬ দশমিক ৮৭ সেকেন্ডে গড়া স্বর্ণপদকটি ছিল ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং।
আজকের সাফল্য নিয়ে জহির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আগের দিন দু’বার দৌড়েছি। হিট ও পরেরবার সেমিফাইনালে। আজ ফাইনাল হয়েছে । কিছুটা ধকল ছিল। এছাড়া সকালে আবহাওয়া অনুকূলে ছিল না। সবমিলিয়ে ক্যারিয়ার সেরা টাইমিং হয়নি। তবে টানা ১০ম বার সেরা হতে পেরে আমি খুশি।’
২০১৭-২০১৮ সাল থেকে টানা সাফল্য পাওয়ার রহস্য কী? জবাবে জহির বলেছেন,‘আমি নিয়মতি অনুশীলনের মধ্যে থাকি। এই তো জাতীয় আসরের আগে বিকেএসপিতে নিয়মিত ঘাম ঝরিয়েছি। স্বর্ণপদকের জন্য সবসময় নিজেকে প্রস্তুত রাখি। বলতে পারেন এটা আমার কঠোর পরিশ্রমের ফসল।’
৪০০ মিটারে হঠাৎ ৪৮জন অ্যাথলেট। এমন উপস্থিতি দেখে জহির অবাক হননি, ‘আসলে দিনকে দিন এই ইভেন্টে আকর্ষণ বাড়ছে। মনে হচ্ছে সবাই আমাকে ছুঁতে চায়! এটা ভালো নতুনরা আসছে। তবে অ্যাথলেট বাড়লেও আমাকে কেউ ছাড়িয়ে যেতে পারেনি। আমি আমার মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। ’
সামনেই বিশ্ব ইনডোর অ্যাথলেটিকস রয়েছে। মার্চের এই আসরে জহিরও অংশ নিতে চান, ‘বিশ্ব আসরে কে না অংশ নিতে চায়। তবে ফেডারেশন যাকে মনোনীত করবে সেই যাবে। আমি এ নিয়ে আর কী বলবো...।’
৪০০ ছাড়াও জহির নামবেন ২০০ মিটার স্প্রিন্টে। সেখানেও নিজের ক্যারিশমা দেখানোর অপেক্ষায় তিনি।