১৯৮২ সালে শুরু হওয়া এশিয়া কাপে এই প্রথম বাংলাদেশ খেলার সুযোগ হারিয়েছে। গতকাল শুক্রবার সেমিফাইনালে ওমানের কাছে হেরে ফাইনালের আগেই বিদায় নিয়েছে মামুনুর রশীদের দল। লাল সবুজ দলের এমন ব্যর্থতায় হকি অঙ্গন ব্যথিত।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এএইচএফ কাপে ফাইনালে উঠতে ব্যর্থ হওয়ায় এবছর ভারতের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ জায়গা করতে না পারায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে হকি অঙ্গনে।
বাংলাদেশ হকি দলের প্রথম অধিনায়ক আব্দুস সাদেক। তিনি ব্যথিত কণ্ঠে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘এমন ব্যর্থতা দেখে যেতে হবে ভাবতে পারিনি। বাংলাদেশ এশিয়া কাপ হকি খেলছে না। এর চেয়ে আর কষ্টের কিছু নেই।’
এরপরই বর্ষীয়ান সংগঠক যোগ করে বলেন, ‘আমার মনে হয় এই টুর্নামেন্টে জিমিকে নেওয়া উচিত ছিল। হকিতে গত ২০ বছরে সেরা খেলোয়াড় ও। যদিও শৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা আছে ওর।’
দেশের অন্যতম সফল কোচ মাহবুব হারুন। তার অধীনে বাংলাদেশ তিনবার এএইচএফ কাপে সাফল্য পেয়েছে। তার কথা, ‘জাকার্তায় এমন ব্যর্থতা হবে ভাবিনি। এটা আমাদের জন্য বড় লজ্জা। আমার মনে হয় ঢাকাতে অনুশীলন শুরুর আগে খেলোয়াড় বাছাইটা ঠিক হয়নি। জিমির মতো খেলোয়াড়কে আগেই বয়সের অজুহাত দেখিয়ে বাদ দেওয়া হয়েছে। এটা মোটেও ঠিক হয়নি। এছাড়া আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ের দলে জায়গা হয়নি। আর সাফল্য পেতে হলে দলের জন্য অনেক কিছু করতে হয়। তা কতটুকু করা হয়েছে এ নিয়ে আমি সন্দিহান।’
জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ও ফেডারেশনের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক প্রিন্স সরাসরি কোচ ও ফেডারেশনকে দায়ী করেছেন এই ব্যর্থতার জন্য, ‘দেশের চেয়ে ব্যক্তি ও ক্লাবের স্বার্থ বড় করে দেখা হয়েছে এই টুর্নামেন্টে। জিমির মতো খেলোয়াড়কে ট্রায়ালেই ডাকেনি। অনেক সমালোচনার পরও তারা কর্ণপাত করেনি। দল নির্বাচন সঠিক না হওয়ায় এ ফল। এ দায় কোচ ও ফেডারেশনকে নিতেই হবে।’
হকি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক লে কর্ণেল (অবঃ) রিয়াজুল হাসানের ভাষ্য, ‘আসলে অন্যরা অনেক উন্নতি করেছে। আমরা পিছিয়ে পড়ছি। টেকনিক্যাল ও ট্যাকটিক্যাল দুই দিকেই উন্নতি প্রয়োজন।’