রাজধানীর বাইরে প্রথমবারে মতো জাঁকজমকপূর্ণভাবে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলের ক্যাম্প উদ্বোধন করা হয়েছে। আর জেলা শহরে প্রশিক্ষণে আসতে পেরে আনন্দিত খেলোয়াড়েরা।
বৃহস্পতিবার বিকাল চারটার দিকে সদর উপজেলার হামিদপুরস্থ শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমিতে এ ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়।
জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলের খেলোয়াড় নাজমুল হুদা ফয়সাল বলেন, ‘শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির মাঠের কথা অনেক শুনেছি। আসলেই এটি অনেক সুন্দর একটি মাঠ। টিমে না থাকলে এমন সুন্দর মাঠে খেলার সুযোগ হতো না। ধন্যবাদ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে।’
আরেক খেলোয়াড় আব্দুল কাদির বলেন, ‘যশোরে এমন সুন্দর পরিবেশে আশা করছি সুন্দরভাবে প্রশিক্ষণ শেষ করতে পারবো। দেশের জন্য ভালো কিছু উপহার দিতে পারবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই একাডেমি থেকে অনেক খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বে দিচ্ছে। সেদিক থেকে অবশ্যই এমন একটি একাডেমিতে ন্যাশনাল ক্যাম্পে আসতে পারাটাও অনেক ভাগ্যের ব্যাপার।’
ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি যশোরের জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ শফিকউজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোরের পুলিশ সুপার রওনক জাহান, সম্মানিত অতিথি ছিলেন প্রেসক্লাবে যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির পরিচালক শেখ শামস্-উল-বারী শিমুল ও অনুষ্ঠানের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান।
একাডেমির পরিচালক শেখ শামস্-উল-বারী শিমুল জানান, গত বুধবার রাতে ৩৮ সদস্যের জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দল সদর উপজেলার হামিদপুরস্থ শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমিতে পৌঁছায়। তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন একাডেমির শিক্ষার্থীরা। আর ৩৮ সদস্যের জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলে মধ্যে ৩১জন খেলোয়াড়, ৫ জন অফিসিয়াল ও দুইজন বল বয় রয়েছেন। টিমের জন্য তিনটি মাঠ প্রস্তুত আছে।
তিনি আরও জানান, ঢাকার বাইরে এ প্রথম যশোর শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমিতে জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দলের দুই সপ্তাহব্যাপী প্রস্তুতি ক্যাম্প শুরু হয়েছে। এর আগে ঢাকা বাইরে জাতীয় দলের কোনও আবাসিক ক্যাম্প হয়নি।