প্রিমিয়ার লিগে বিরতিতে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার লেসকানোকে নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছিল বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু এখন পর্যন্ত দীর্ঘদেহী ফুটবলার নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। বরং তার জায়গায় আজ ‘অখ্যাত’ ইনসান হোসেন হিরো! নারায়ণগঞ্জ থেকে উঠে আসা ১৯ বছর বয়সী ফুটবলারের ওপর ভর করে কিংস ফেডারেশন কাপে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। বদলি ফরোয়ার্ডের দারুণ এক গোলে রহমতগঞ্জকে বিদায় করে ২২ এপ্রিলের ফাইনালে আবাহনীর মুখোমুখি হতে যাচ্ছে তারা। গোল করে দলকে ফাইনালে তুলে ইনসান দারুণ খুশি।
মঙ্গলবার কিংস অ্যারেনাতে তো ম্যাচ শেষে তাকে ঘিরে সতীর্থরা উৎসব করেছে। কাঁধে চড়িয়ে উল্লাসে মেতে উঠেছিলেন তারা। অথচ ইনসানের খেলারই কথা ছিল না। অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ গড়ালে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকারের জায়গায় তার ডাক পড়ে। কোচের ভরসার প্রতিদান দিয়েছেন দারুণ এক হেডে গোল করে। ম্যাচ শেষে বাংলা ট্রিবিউনকে ইনসান বলেছেন, ‘আমি ভাবতে পারিনি আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকারের জায়গায় আমি খেলবো। কোচ যখন বলেছেন মাঠে নামতে হবে, সেই অবস্থায় ভয় পাইনি। আত্মবিশ্বাস থেকে খেলেছি। সুযোগ পেয়ে গোলও করেছি। রাগিব ভাই আগেই বলেছিলেন, ক্রস করলে যেন হেড করি। সেটাই করে সাফল্য পেয়েছি।’
ইনসানের উচ্চতা ৫ ফুট ১০ ইঞ্চি। কিংসের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৮ দলে খেলতেন। গত মৌসুমে ব্রাদার্সের হয়ে খেলেছেন। শুরুতে মধ্যমাঠে খেললেও কোচ তাকে স্ট্রাইকার কিংবা ফরোয়ার্ড পজিসনে খেলাচ্ছেন। এবার এনিয়ে তৃতীয় ম্যাচ খেলেই হিরো বনে গেছেন। ফাইনালেও ইনসান সুযোগ পেলে খেলতে চান। গোলও করতে চান। তার আত্মবিশ্বাস, তিনি আবারও গোল পাবেন এবং দলও জিতবে শিরোপা।
এই ফরোয়ার্ড বললেন, ‘আমি যদি ফাইনালে সুযোগ পাই, তাহলে আবারও গোল পাবো বলে আমার বিশ্বাস আছে। আসলে আমি ভয় পাই না। গত মৌসুমে ব্রাদার্সের হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে গোল করেছিলাম। তাই এবার কিংসের হয়ে গোল করতে চাই। আমার বিশ্বাস আমাদের আত্মবিশ্বাস কম নয়। ট্রফি আমরাই জিতবো। আমারও স্বপ্ন আছে একসময় আমি কিংসের হয়ে একাদশে খেলবো। নিজের জায়গা পাকা করবো।’