চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ আটের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে বিধ্বস্ত করে সেমিফাইনালের পথটা সুগম করেছে আর্সেনাল। প্রিমিয়ার লিগে অবশ্য সেই নৈপুণ্য দেখাতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। ব্রেন্টফোর্ডের সঙ্গে ড্র করেছে ১-১ গোলে। একই সপ্তাহে ইউরোপিয়ান ক্লাব টুর্নামেন্টে কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগ দেখে স্বাভাবিকভাবে সেটা গানারদের আত্মবিশ্বাসে ধাক্কা দেওয়ার কথা। কিন্তু আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতা জোর দিয়ে বলেছেন, এই ড্রতে মোটেও মনোযোগ সরে যাচ্ছে না তাদের।
প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জয়ের পথে শীর্ষে থাকা লিভারপুলকে ধরার ক্ষীণ আশাটুকু বাঁচিয়ে রাখতে জয় প্রয়োজন ছিল আর্সেনালের। কিন্তু থমাস পার্টি ৬১ মিনিটে দলকে এগিয়ে দিলেও ৭৪ মিনিটে ব্রেন্টফোর্ডকে সমতায় ফেরান ইওয়ান ভিসা।
রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জেতা ম্যাচটার ইনটেনসিটি মোটেও মেলে ধরতে পারেনি আর্সেনাল। আর্তেতা অবশ্য তাতে উদ্বিগ্ন নন, ‘আসলে এক্ষেত্রে ব্যাপারটা সেরকম মনে হচ্ছে না। আমরা অবশ্যই ম্যাচের ফল নিয়ে হতাশ। পুরো ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে ছিল। কিন্তু খুবই বাজে একটা গোল হজম করেছি। আর মনোভাবের বিষয়টাতেও দেখতে হবে আমরা কতটা সিরিয়াস ছিলাম। শেষ দিকে দশ জনের দল নিয়ে খেলেও গোলের দুটি বড় সুযোগ তৈরি করেছি। তাই কর্মশক্তির বিষয়টা এখানে মোটেও খাটে না। আমরা প্রতি তিন দিনে একটি ম্যাচ খেলি, তাতে অভ্যস্তও। ফলে প্রাণশক্তি কমে গেছে- এমন কোনও অজুহাত দিতে চাই না।’
ইংলিশ লিগে সর্বশেষ ৭ ম্যাচে মাত্র দুটি ম্যাচ জিতেছে আর্সেনাল। তাতে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা তারা কার্যত লিভারপুলকে উপহার হিসেবে দেওয়ার মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে। রেডসরা এখন দুইয়ে থাকা আর্সেনালের চেয়ে ১০ পয়েন্ট এগিয়ে। লিভারপুলের আর সাত ম্যাচ বাকি, আর্সেনালের বাকি ৬ ম্যাচ। রবিবার লিভারপুল যদি ওয়েস্টহ্যামকে হারায় এবং ২০ এপ্রিল ইপসইউচের কাছে আর্সেনাল হেরে যায়, তাহলে একই দিন লেস্টারের মাঠে জিতলে শিরোপা নিশ্চিত করবে আর্নে স্লটের দল।
আর্তেতা আরও বলেছেন, ‘একটা সুযোগ হাতছাড়া করেছি। কিন্তু আমরা জিতে লিগে নিজেদের সম্ভাবনা আরও বাড়াতে চেয়েছি, সেটা সম্ভব হয়নি। এখন আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। এই মৌসুমের সবচেয়ে সুন্দর ম্যাচের জন্য আমাদের এখন প্রস্তুত হতে হবে।’