প্রথম লেগেই ১-০ তে পিছিয়ে পড়েছিল ইন্টার মায়ামি। দ্বিতীয় লেগেও শুরুটা হয় গোল হজম করে। সেখান থেকে মেসি জাদু উদ্ধার করলো তাদের। কনক্যাক্যাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে লস অ্যাঞ্জেলস এফসিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে মায়ামি। দুই লেগ মিলিয়ে ইন্টারের স্কোর লাইন ছিল ৩-২।
প্রথম লেগে পিছিয়ে থাকা মায়ামির বিপদ আরও বাড়ে খেলার ৯ মিনিটে। লস অ্যাঞ্জেলসকে এগিয়ে দিয়েছিলেন অ্যারন লং। ৩৫ মিনিটে দারুণ এক স্ট্রাইকে মায়ামিকে ম্যাচে ফেরান লিওনেল মেসি। অবশ্য হাভিয়ের মাসচেরানোর দলের তখন আরও দুই গোলের প্রয়োজন। তারা অগ্রগামিতা পায় ৬০ মিনিটে। নোয়াহ অ্যালেন বক্সের মুখে বল চিপ করেছিলেন। মায়ামি মিডফিল্ডার ফেডেরিকো রেডোন্ডো মাথা ছোঁয়ানোর জন্য এগিয়ে গেলেও মাথা ছোঁয়াতে পারেননি। তখন বিভ্রান্ত হন লস অ্যাঞ্জেলস গোলকিপার উগো লরিস। বল চলে যায় জালে।
মায়ামির যখন আর একটি গোল প্রয়োজন ঠিক তখনই জাল কাঁপিয়েছিলেন লুইস লুয়ারেস। মেসির ক্রস থেকে শট নিলেও পরে অ্যাসিসট্যান্ট রেফারি জানিয়ে দেন, উরুগুয়ে তারকা অফসাইডে ছিলেন! শেষ পর্যন্ত মায়ামি শিবিরে স্বস্তি ফেরে যখন তারা একটি হ্যান্ডবলের আবেদন করে। বক্সে জটলার মধ্যে বলে হাত দিয়ে ফেলেছিলেন প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় মারলন। ভার রিভিউতে পরে দেখা যায় লস অ্যাঞ্জেলসের ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার সত্যিই হ্যান্ডবল করেছেন। তাৎক্ষণিক সেই পেনাল্টি থেকে স্পট কিকে ৮৪ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি করেন মেসি। অবশ্য শেষ দিকে লস অ্যাঞ্জেলস বেশ কয়েকবার জয়ের কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। কিন্তু মায়ামি গোলকিপার অস্কার ওস্তারির দারুণ দক্ষতায় ব্যর্থ হয়েছে তারা।