রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরির মধ্যে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের টার্ফে নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন হামজা-জামাল-তপু-ইব্রাহিমরা। অনুশীলনে ভারত ম্যাচের কৌশল নিয়ে শেষ সময়ের প্রস্তুতিতে দেওয়া হয়েছে জোর। বাংলাদেশের ক্রীড়ামোদীদের মতো শিলংয়েও এই ম্যাচ নিয়ে অনেকের মধ্যে রোমাঞ্চ কম নয়। দুই প্রতিবেশীর লড়াইয়ের আগে অন্যরকম উচ্চতায় পৌঁছে গেছে এর রেশ।
জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মণ স্টেডিয়ামে ঠান্ডা আবহাওয়ার মাঝে প্রশ্নের উত্তরে সেটাই যেন বলার চেষ্টা করলেন, ‘অনেকগুলো ম্যাচই খেলেছি ভারতের সঙ্গে। এবারের ম্যাচ ব্যতিক্রম। কারণ কি একটা হাইপ উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ ইতিবাচক, আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। বড় দায়িত্ব থাকবে আমার। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো গোল না খাওয়া। সেই সঙ্গে দলকে উজ্জীবিত করা। আমার সঙ্গে (রক্ষণে) যে তিনজন থাকবে, তাদের নিয়ে ভালো একটা ফাইট দেওয়ার চেষ্টা করবো।’
অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী ফেরায় ভারত দলে অন্যরকম ছোঁয়া। তপুও তাই সতর্ক, ‘ভারত দল সবসময় ভালো হয়। তাদের সকল খেলোয়াড় আইএসএল খেলে এসেছে। যারা ইনজুরিতে আক্রান্ত, তাদের পরিবর্তে যারা এসেছেন তারাও ভালো। তারা ভালো দল, ভালো প্রতিপক্ষ। সুনীল ছেত্রীর কথা বলি, সে অবসরে যাওয়ার পর কিন্তু ভারত ম্যাচ জেতেনি। দলের জন্য অনুপ্রেরণা। সে ফেরার পর কিন্তু ম্যাচ জিতেছে। তার ওপর বাড়তি নজর দিতে হবে।’
বাংলাদেশ দলে হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তিতে চিত্রই যেন পাল্টে গেছে। তার সঙ্গে শুধু খেলা নয়, সবকিছু নিয়ে কথা হয় সবার। এমনটি জানিয়ে তপু বললেন, ‘হামজা আমাদের প্রতিটি খেলোয়াড়ের সঙ্গে ভালোভাবে মিশেছে। তার কাছ থেকে সবসময় অনেক কিছু শেখার আছে। তার সঙ্গে সবসময় ফুটবল নিয়ে কথা হয় না, পরিবার নিয়েও কথা হয়। খাবার-দাবার নিয়েও কথা হয়। সেও আমাদের সঙ্গে কথা বলে যে কীভাবে আরও উন্নতি করা যায়।’
ভারত সবশেষ প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে সেটপিস থেকে গোল আদায় করে নিয়েছে। তপুদের নিয়ে গড়া রক্ষণভাগ এ নিয়েও বেশ সতর্ক, ‘একমাস সময় পেয়েছি এ ম্যাচ খেলার আগে। সেটপিস নিয়ে অনেক কাজ করেছি, অনেক মনোযোগী। ভারত মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে তিন গোলই করেছে সেটপিস থেকে। তাদের একাধিক খেলোয়াড় রয়েছে সেটপিসে ভালো। জিঙ্গান, সুনীল, রাহুল ভেকের মত খেলোয়াড় আছে। এ নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।’
ঘরোয়া ফুটবলে তপুর গোল এবার কম নয়, পাঁচটি। ডিফেন্ডার হয়েও গোল করে যাচ্ছেন, যা ভারত ম্যাচে তাকে আশাবাদী করে তুলেছে, ‘ঘরোয়া ফুটবলে আমি গোল করেছি। যা আমাকে উজ্জীবিত করছে। চেষ্টা থাকবে দেশের হয়ে গোল করার।’