চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে আজ ব্লকব্লাস্টার লড়াইয়ে মুখোমুখি লিভারপুল ও পিএসজি। পার্ক দ্য প্রিন্সেসে এই লড়াই মাঠে গড়াবে বুধবার রাত ২টায়।
প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা প্রত্যাশী হওয়ার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের লিগ পর্যায়েও দাপট ছিল আর্নে স্লটের শিষ্যদের। ৮ ম্যাচে জয় ছিল ৭টি। তার মধ্যে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষেও জিতেছে ২-০ গোলে। সব মিলে ছন্দে থাকায় ২০১৯ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের আশায় লিভারপুল। কিন্তু ফরাসি জায়ান্টদের বিপক্ষে দলটির ইতিহাস তাদের পক্ষে কথা বলছে না। ৬ বারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা সর্বশেষ দুই সফরেই পিএসজির কাছে হার মেনেছে। একবার ১৯৯৭, আরেকবার ২০১৮ সালে! তার পরেও কোনও ভয় কাজ করছে না লিভারপুল কোচ আর্নে স্লটের। ম্যাচের আগে বলেছেন , ‘পিএসজিকে ভয় পাই? আমরা কাউকেই ভয় পাই না। তবে তাদের খেলার মান দেখে আমি মুগ্ধ। এই মুহূর্তে আমাদের মতোই উঁচুতে রয়েছে তারা। আমার মনে হয় না লিভারপুল, আর্সেনাল, পিএসজি, বার্সেলোনা কিংবা রিয়াল মাদ্রিদের মতো দল প্রতিপক্ষকে ভয় পায়।’
লিভারপুলের মতো পিএসজিও অপ্রতিরোধ্যভাবে শিরোপা জয়ের পথে ছুটছে। এখনও ১৩ পয়েন্টের ব্যবধান ধরে রেখেছে। লিগ ওয়ানে অপরাজিত ২৪ ম্যাচ। লিভারপুলের মুখোমুখি হওয়াকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন দলটির কোচ লুই এনরিকে, ‘লিভারপুলকে ভালো করেই জানি। খেলার মান আর ফলাফলের দিক থেকে ইউরোপে সেরা ছন্দে থাকা দল। এটা হতে পারতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। ফলে আমরা আমাদের অস্ত্র নিয়ে চেষ্টা করে যাবো।’
একই সময় রাত ২টায় মাঠে নামবে বার্সেলোনাও। অ্যাওয়ে ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ বেনফিকা। দুই দলের লড়াইয়ের আড়ালে আসল লড়াইটা হবে ফর্মে থাকা দুই স্ট্রাইকার রবের্ত লেভানডোভস্কি ও ভেঙ্গেলিস পাভলিদিসের। ৮ ম্যাচে বার্সেলোনার লেভানডোভস্কি করেছেন ৯ গোল। অপর দিকে বেনফিকার পাবলিদিসের ১০ ম্যাচে গোল ৭টি, অ্যাসিস্টও আছে দুটি। এই মৌসুমে এরই মধ্যে একবার মুখোমুখি হয়েছে তারা। যেখানে ৯ গোলের থ্রিলারের জন্ম দিয়েছে দুই ক্লাব। শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনা ৫-৪ গোলে জিতেছে। একই সময় আজ রাতে আবার অল জার্মান লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বায়ার্ন মিউনিখ ও বেয়ার লেভারকুসেন।