দুর্দান্ত ফর্মে কিলিয়ান এমবাপ্পে। তার হ্যাটট্রিকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নকআউট প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে ৩-১ গোলে ম্যানসিটিকে হারালো রিয়াল মাদ্রিদ। দুই লেগে ৬-৩ গোলের অগ্রগামিতায় সিটিজেনদের বিদায় করে শেষ ষোলোতে ১৫ বারের চ্যাম্পিয়নরা।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ৩-২ গোলে প্রথম লেগ জিতে ফিরেছিল রিয়াল। ফেভারিট হিসেবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে পেপ গার্দিওলার দলকে স্বাগত জানায় তারা। প্রথমার্ধেই এমবাপ্পের জোড়া গোলে ব্যবধানটা তিনে বাড়িয়ে নেয় স্বাগতিকরা। বিরতির পর ফরাসি ফরোয়ার্ড হ্যাটট্রিক পূরণ করেন।
মাত্র চার মিনিট যেতেই এমবাপ্পে গোলমুখ খোলেন। সিটির রক্ষণের ভুলে এগিয়ে যায় রিয়াল। ম্যানসিটি অধিনায়ক রুবেন দিয়াস হেডে বল ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হলে ফরাসি ফরোয়ার্ড বল পায়ে নিয়ে এডারসনের শরীরের ওপর দিয়ে জাল কাঁপান। ৩৩তম মিনিটে কাটব্যাকে খুব কাছ থেকে নিখুঁত ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। ম্যাচ ঘড়ির কাঁটা ঘণ্টা পার হতেই তৃতীয়বার জালে বল ঠেলে দেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী ফরোয়ার্ড। ৬১তম মিনিটে বক্সের প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের শটে জালে বল ঠেলে দেন তিনি।
রিয়ালের হয়ে ৩৮ ম্যাচে এমবাপ্পের গোল দাঁড়ালো ২৮টি। ক্লাব ও দেশের হয়ে সব মিলিয়ে তার গোল সংখ্যা ৩৫৯ এবং বানিয়েছেন ১৪২টি। সব প্রতিযোগিতা মিলে ৫০১ গোলে অবদান ফরাসি তারকার। সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে শীর্ষ পর্যায়ে ৫০০ গোলে অবদান রাখার মাইলফলকে পৌঁছালেন তিনি।
স্টপেজ টাইমে সান্ত্বনাসূচক গোল করেন নিকোলাস গঞ্জালেস। ওমর মারমৌশের ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরে এলে ফিরতি শটে এক গোল শোধ দেন তিনি।
শেষ ষোলোতে রিয়ালের প্রতিপক্ষ বেয়ার লেভারকুসেন কিংবা নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। শুক্রবার হবে ড্র।
এদিকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ঘরের মাঠে স্পোর্তিং সিপির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে। তবে প্রথম লেগ ৩-০ গোলে জেতায় দ্বিতীয় লেগের ফল জার্মানদের শেষ ষোলোতে ওঠা আটকাতে পারেনি। পরের পর্বে তাদের প্রতিপক্ষ অ্যাস্টন ভিলা কিংবা লিল।
আর পিএসজি গোলবন্যায় ভাসিয়েছে ব্রেস্টকে। ৭-০ গোলে দ্বিতীয় লেগ জিতেছে ফরাসি জায়ান্টরা। দুই লেগে ১০-০ গোলের অগ্রগামিতায় তারা শেষ ষোলোতে। পরের ধাপে প্রতিপক্ষ লিভারপুল কিংবা বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে দুই গোল দিয়েছিল প্যারিস ক্লাব। বিরতি থেকে ফিরে আরও পাঁচ গোল করে তারা। প্রথম দল হিসেবে পিএসজির ভিন্ন সাত জন চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গোলদাতার খাতায় নাম লেখেন।
ব্রাডলি বারকোলা, খভিচা কভারাতখেলিয়া, ভিতিনিয়া, দেসির দোয়ে, নুনো মেন্দেস, গনসালো রামোস ও সেনি মায়ুলু করেন একটি করে গোল। তাদের প্রতিপক্ষ বার্সেলোনা কিংবা লিভারপুল।
২-১ গোলে প্রথম লেগ জেতা জুভেন্টাস ফিরতি লেগে অঘটনের শিকার। পিএসভি আইন্দহোভেনের মাঠে ৩-১ গোলে হেরেছে তারা।
ম্যাচের চার গোলের সবগুলো হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৩ মিনিটে ইভান পেরিসিচের গোলে লড়াইয়ে সমতা ফেরায় পিএসভি। দশ মিনিট পর টিমোথি উইয়াহ গোল করলে জুভেন্টাস দুই লেগে ৩-২ এ এগিয়ে যায়। ৭৪তম মিনিটে ইসমাইল সাইবারির গোল করলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। রায়ান ফ্লামিঙ্গো ৯৮তম মিনিটে গোল করে জুভেন্টাসের স্বপ্ন ভেঙে দেন। দুই লেগের অগ্রগামিতায় ৪-৩ গোলে ইতালিয়ান জায়ান্টদের পেছনে ফেলে শেষ ষোলোতে পিএসভি, তাদের প্রতিপক্ষ আর্সেনাল কিংবা ইন্টার মিলান।