প্যারিস সেন্ট জার্মেইতে নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পের জুটি শুরুতে বেশ সাফল্য পেয়েছে। কয়েক বছর যেতেই এই দুজনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। কেউ কাউকে পাস দেন না, আবার পেনাল্টি নিতে গেলেও দুজনের মধ্যে শুরু হয় মন কষাকষি। এই রেষারেষি শুরু হয়েছিল লিওনেল মেসি প্যারিসে পা রাখার পর। নেইমার জানালেন, আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্কে হিংসায় জ্বলছিলেন এমবাপ্পে!
২০২৩ সালে পিএসজি ছেড়ে সৌদি ক্লাব আল হিলালে চলে যান নেইমার। তার আগে প্যারিসে ২০১৭ সালে এমবাপ্পে আসার পর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ব্রাজিলিয়ান তারকার। সেই স্মৃতি চারণ করলেন নেইমার সাবেক ব্রাজিল তারকা রোমারিওর এক পডকাস্টে, ‘তার সঙ্গে আমার ছোটখাটো সমস্যা ছিল, লড়াই হতো অল্পস্বল্প। কিন্তু শুরুতে সে ছিল ছোট ছেলে, যখন সে এসেছিল। সবসময় আমি তাকে বলতাম, সেই হতে যাচ্ছে অন্যতম সেরা। মজাও করতাম। তাকে সবসময় সাহায্য করতাম। কথাও হতো অনেক। সে আমার বাসায় আসতো, আমরা একসঙ্গে বাইরে ডিনার করতাম।’
কিন্তু এমবাপ্পের আচরণ পাল্টে যায় ২০২১ সালে মেসি বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে আসার পর। ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনায় একসঙ্গে খেলার কারণে নেইমার ও মেসির সম্পর্ক আগে থেকেই ছিল। পুরানো বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হতে থাকে পিএসজির ড্রেসিংরুমে। আর তা দেখে হিংসায় জ্বলতেন ফরাসি ফরোয়ার্ড!
নেইমার বললেন, ‘একসঙ্গে আমরা দারুণ কয়েকটি বছর কাটিয়েছি। কিন্তু তারপর মেসি যখন আসলো, আমার মনে হয় সে হিংসা করতে শুরু করলো। আমাকে সে কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে দিতে চাইতো না। তারপর শুরু হলো লড়াই, আচরণ গেলো বদলে।’
তিন তারকা একসঙ্গে আক্রমণভাগে থাকলেও দলের সাফল্যে ছন্দপতন ঘটে। নেইমার ব্যাখ্যা করলেন সেই কারণ, ‘বুঝতে হবে যে একা খেলা যায় না। পাশে একজনকে থাকতে হবে। আমি সেরা, ঠিক আছে কিন্তু কে আপনাকে বল দেবে? পাশে ভালো মানুষ দরকার, যে বল দেবে। এটা ছিল সবার আত্মদম্ভ, তাই ভালো কিছু হয়নি। আজকাল কেউ যদি না দৌড়ায়, একে অন্যকে সাহায্য না করে, তাহলে জেতা অসম্ভব।’