প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে তিন রাউন্ড যেতে না যেতেই সুলেমানে দিয়াবাতের সঙ্গে এক স্থানীয় খেলোয়াড়ও শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। তবে তিনি তারকা কেউ নন। বরং দুই ম্যাচে চার গোল করে প্রথমবারের মতো আলোচনায় চলে এসেছেন। বলা হচ্ছে পুলিশ এফসির তরুণ স্ট্রাইকার আল আমিনের কথা।
আরামবাগ ও শেখ জামালে খেললেও এবারই প্রথম লিগে নিয়মিত গোল পেয়েছেন। ইয়ংমেন্স ও ওয়ান্ডারার্সের বিপক্ষে দলের জয়ে জোড়া গোল করে বড় ভূমিকা রেখেছেন। তাই দিয়াবাতের সঙ্গে চার গোল করে সর্বোচ্চ গোলদাতার খাতায় নাম তুলেছেন।
চার গোল ঝুলিতে পুরে আল আমিনের আত্মবিশ্বাস আরও বেড়েছে। চাইছেন লিগের প্রথম পর্বে অন্তত সাত গোল করে জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরার দৃষ্টি কাড়তে। বাংলা ট্রিবিউনকে নিজের ইচ্ছের কথা জানাতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি চাই প্রথম পর্বের আগেই অন্তত সাত গোল করতে। সবার স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার, খেলার। বেশি গোল করতে পারলে তখন জাতীয় দলের কোচের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। আমার স্বপ্নও পূরণ হবে।’
পুলিশ দলে একজন প্যারাগুয়ের স্ট্রাইকারও আছেন। এক ম্যাচে দুজন এক সঙ্গে খেলেছেন। তবে বিদেশি খেলোয়াড়ের চোটের কারণে আল আমিন একাই পোস্টের সামনে আছেন। তবে প্যারাগুয়ে স্ট্রাইকার সুস্থ হয়ে পরের ম্যাচে থাকবেন নাকি আল আমিন জায়গা ধরে রাখবেন? নাকি দুজনের ওপরই ভরসা করবেন, এ নিয়ে কোচকে দ্বিধায় পড়তে হচ্ছে।
তবে আল আমিন আশাবাদী, ‘ফর্মেশনের ওপর নির্ভর করবে অনেক কিছু। তবে আমি যেহেতু চার গোল করেছি এখন বিদেশি খেলোয়াড়ের সঙ্গে এক ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। আবার এক সঙ্গে খেলতেও পারি। এখন সামনের ম্যাচে কী হয় দেখার অপেক্ষায়।’
আল আমিন গোলের জন্য আলাদা অনুশীলনও করে থাকেন। পুলিশ এফসির কোচ দারুণভাবে সাহায্য করেন বলে জানালেন নীলফামারী থেকে উঠে আসা ২১ বয়সী স্ট্রাইকার, ‘দলের সঙ্গে অনুশীলনের পর আলাদা করে হেডওয়ার্ক করে থাকি। শুটিংও। কোচ জুয়েল স্যার আমাকে অনেক সাহায্য করে থাকেন। এর ফলই হয়তো মাঠের খেলাতে পাচ্ছি।’
আল আমিন সামনের দিকে আরও এগিয়ে যেতে চান। তার স্বপ্ন যে লাল সবুজ দলের জার্সি গায়ে চাপানো!