নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পুনরাবৃত্তিই হচ্ছে এবারও। ফলেরও পুনরাবৃত্তি হবে, এমনটাই আশা বাংলাদেশের। কাঠমান্ডুতে দশরথ স্টেডিয়ামে আবারও তাদের সামনে নেপাল। আবারও স্বাগতিকদের হারাতে পারলে টানা দ্বিতীয়বার ট্রফি জয়ের স্বাদ পাবে সাবিনা খাতুন-তহুরা খাতুনরা। প্রতিপক্ষের মাঠে ফাইনাল কঠিন হবে বুঝতে পারলেও জিতে ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরতে উন্মুখ তারা সবাই। বাংলাদেশ সময় পৌঁনে সাতটায় হবে ধুন্ধুমার ফাইনাল ম্যাচটি।
দুই বছর আগে এই দশরথের মাঠে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ট্রফি নিয়ে উৎসব করেছিল সাবিনারা। বুধবার আবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। তাই তো মঙ্গলবারের সংবাদ সম্মেলনে এসে ট্রফি ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছেন অধিনায়ক সাবিনা।
ম্যাচটি কঠিন হবে তা আগেই বলে দিয়েছেন ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। সাবিনার কথায়, ‘নেপালকে ফাইনালে দেখে আমি খুশি। আশা করি, দর্শকরা আগামীকালের ফাইনাল উপভোগ করবে। ফাইনাল কারও জন্যই সহজ হবে না, কঠিন ম্যাচ হবে।’
চাপটা আসলে কার ওপর বেশি থাকবে, স্বাগতিক নেপাল নাকি বাংলাদেশের ওপর! সাবিনা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, ‘আমাদের কিছুটা অসুবিধা তো হবেই। দলের অনেকেই তরুণ আছে। আবার অনেকেরই এই মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমার কাছে মনে হয়, স্বাগতিক দলই বেশি চাপে থাকে।’
সাম্প্রতিক সময়ে কোচ পিটার বাটলার ও মেয়েদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে চারদিকে হইচই। তবে সাবিনা আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে জানালেন, ‘আমি আমার দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। মেয়েরা যেসব বিতর্কের মধ্য দিয়ে গেছে, সেসব কিছু অতিক্রম করে যেভাবে ফুটবল খেলেছে, সেটা অবিশ্বাস্য। এটার প্রশংসা করা উচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমার মনে হয় না, কোনও কিছুর ঘাটতি আপনারা মাঠে দেখতে পাবেন। আপনারাই বলেছেন, মেয়েরা এত ভালো ফুটবল কীভাবে খেলছে? আমার মনে হয়, সেই জিনিসটাই মেয়েরা ধরে রাখবে।’
শেষ কথায় সাবিনা বললেন তারা শিরোপার জন্য খেলবে, ‘অবশ্যই চাইবো… দেশের মানুষের দোয়া। গতবার আমাদের প্রতি আশা ছিল, সেটা রেখেছিলাম। এখন মেয়েরা ভালো ফুটবল খেলছে এটাই স্বস্তির। আমি মনে করি, শিরোপা জেতার জন্যই খেলবে মেয়েরা।’