ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের পর্দা উঠতে যাচ্ছে আজ। ছোট ক্লাবগুলোকে ভালো কিছু করার সুযোগ করে দিতে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজ বাড়াতে এবার বড় পরিসরে হতে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। বড় পরিসরে নতুন ফরম্যাটে মাঠে গড়াতে যাচ্ছে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের লড়াই।
প্রতিযোগিতায় লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। উয়েফা প্রথাগত গ্রুপ পর্ব থেকে বেরিয়ে এসেছে, যেটা ছিল বেশ প্রত্যাশিত এবং মহাদেশের বড় ক্লাবগুলোই কেবল আধিপত্য দেখিয়েছে। এবার ৩২ দলের সঙ্গে যোগ করা হয়েছে চারটি দল। ৩৬ দল নিয়ে লিগ পর্বে খেলা হবে। প্রতিটি দল আটটি করে ভিন্ন দলের সঙ্গে ৮ ম্যাচ খেলবে, আগের চেয়ে দুটি বেশি।
মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ তাদের ১৬তম শিরোপার মিশনে নামবে। জার্মান বুন্দেসলিগার গত মৌসুমে রানার্সআপ হয়ে চমক দেখানো ভিএফবি স্টুটগার্টের মুখোমুখি হবে তারা। প্রথমবার দুই দল একের অন্যের সামনে দাঁড়াচ্ছে।
একই রাতে রয়েছে লিভারপুল ও এসি মিলানের হেভিওয়েট লড়াই। দুই দল মিলে ১৩ বার শিরোপা হাতে নিয়েছে। আরেক জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ খেলবে ডায়নামো জাগরেবের বিপক্ষে।
বুধবার রাতে ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান মুখোমুখি হচ্ছে। ২০২৩ সালের ফাইনালের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে এদিন, যেবার পেপ গার্দিওলার দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
শুধু এই সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ হবে টানা তিন দিন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। মাঠে নামবে মোনাকো ও বার্সেলোনা। সার্বিয়ায় মুখোমুখি হবে সাবেক দুই চ্যাম্পিয়ন রেড স্টার বেলগ্রেড ও বেনফিকা। নবাগত দুই ক্লাব ফ্রান্সের ব্রেস্ত ও অস্ট্রিয়ান চ্যাম্পিয়ন স্তুর্ম গ্রাজও চমক দেখানোর প্রত্যাশায় থাকবে।
লিগ পর্বের শীর্ষ আটটি দল খেলবে শেষ ষোলোতে। এই পর্বের বাকি জায়গা পূরণ করতে নবম থেকে ২৪তম স্থানে থাকা দলগুলো প্লে অফ খেলবে। শেষে থাকা ১২ দল ছিটকে যাবে।
উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার সেফেরিন বলেছেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমি মনে করি আমরা একটি সমাধানে পৌঁছাতে পেরেছি, যেটার সুবিধা আমরা সবাই পাবো। এটা প্রতিযোগিতাকে অপ্রত্যাশিত ও আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। এটা দারুণ পরিবর্তন।’
নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু হওয়ায় এখন সূচি আরও আঁটসাঁট হবে। এনিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন খেলোয়াড় ও কোচেরা। রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেছেন, ‘মাঝেমধ্যে কিছু নতুন বিষয় প্রতিযোগিতা ও সবার জন্য ভালো। কিন্তু আমাদের জন্য কষ্টের ব্যাপার হচ্ছে ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া।’