ক্লোজড ডোর ম্যাচ আয়োজনের পর ভুটান সফরের জন্য ২৩ জনের চূড়ান্ত সিনিয়র দল দিয়েছেন বাংলাদেশ কোচ। সেখানে নতুন মুখ দুজন— মিরাজুল ইসলাম ও শাকিল আহমেদ তপু।
ভুটানের বিপক্ষে আগামী ৫ ও ৮ সেপ্টেম্বর দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এ উপলক্ষে শুক্রবার ঢাকা ছাড়বে দলটি।
শুরুতে ১৪ জনকে ডাকা হয়েছিল। সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেপাল থেকে বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছে দল। ওই দল থেকে ভুটান ম্যাচের চূড়ান্ত দলে আছেন মোট চার জন। এদের মধ্যে রাব্বী হোসেন রাহুল ও চন্দন রায় আগেও ডাক পেয়েছিলেন কাবরেরার দলে। গোল্ডেন বুট পাওয়া মিরাজুল ও ডিফেন্ডার তপু এবারই প্রথম।
সদ্য শেষ হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে মিরাজুল চার গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পাশাপাশি টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেন। ফাইনালেও জোড়া গোল করেছিলেন এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। ফাইনালে দলের তৃতীয় গোলটি করা রাহুলেরও জায়গা হয়েছে দলে।
এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের ড্রয়ের আগে নিজেদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতির লক্ষ্য নিয়ে ভুটানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এই দুই ম্যাচের ফল ভালো হলেই বাছাইয়ে তুলনামূলকভাবে কম শক্তিশালী প্রতিপক্ষ পাবেন মিতুল-জামালরা।
কাবরেরার বিশ্বাস দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভুটানের কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেবে দল, 'রাহুল ও চন্দন আগের ক্যাম্পে ছিল। মিরাজুল ও তপু একেবারে নতুন। প্রথম ম্যাচের আগে আমরা পাঁচ থেকে ছয় দিন প্রস্তুতির জন্য সময় পাবো। সেখানকার সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো। সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা খুবই আত্মবিশ্বাসী যে দল খুবই দ্রুত মানিয়ে নেবে এবং প্রথম ম্যাচের জন্য প্রস্তুত হবে।'
বাংলাদেশ দল
গোলকিপার: মিতুল মারমা, সুজন হোসেন ও পাপ্পু হোসেন।
ডিফেন্ডার: তপু বর্মন, বিশ্বনাথ ঘোষ, সাদউদ্দিন, মেহেদী হাসান, রহমত মিয়া, ইসা ফয়সাল, শাকিল হোসেন ও শাকিল আহমেদ তপু।
মিডফিল্ডার: সোহেল রানা, মোহাম্মদ হৃদয়, জামাল ভূঁইয়া, মোহাম্মদ সোহেল রানা, মিরাজুল ইসলাম, চন্দন রায় ও মজিবুর রহমান জনি।
ফরোয়ার্ড: রাকিব হোসেন, শেখ মোরসালিন, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, শাহরিয়ার ইমন ও রাব্বী হোসেন রাহুল।