স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে অতিরিক্ত সময়েই জিততে পারতো পর্তুগাল। শেষ ষোলোর লড়াইয়ে ১০৫ মিনিটে দলটি পেনাল্টি পেয়েছিল। কিন্তু সর্বশেষ ১৩ পেনাল্টিতে যার একটিও মিস নেই, সেই ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ব্যর্থ হলেন গোল করতে! তার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন স্লোভেনিয়ার গোলকিপার ইয়ান ওবলাক। তার পর তো স্নায়ুক্ষয়ী টাইব্রেকারে পর্তুগিজ রক্ষণে প্রাচীর হয়ে ছিলেন গোলকিপার ডিয়েগো কস্তা। টাইব্রেকারে টানা তিনটি শট ঠেকিয়ে পর্তুগিজদের জয়ের নায়কই তো তিনি!
নির্ধারিত সময় আর অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে স্কোর লাইন ছিল ০-০। শুটআউটে কস্তা বীরত্ব না দেখালে খলনায়ক হয়ে যেতেন রোনালদো। সেটি হয়নি কস্তার অবিশ্বাস্য দৃঢ়তায়। প্রথম তিনটি শটই কস্তা ঠেকিয়ে দিয়েছেন। তার আগে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধেও পা দিয়ে স্লোভেনিয়ার বেঞ্জামিন সেসকোর শট ঠেকিয়ে বিপদ থেকে রক্ষা করেন তিনি। এমন অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের পর ২৪ বছর বয়সী প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘মনে হয় আমার জীবনের সেরা ম্যাচ ছিল এটি। যে ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ব্যবহারযোগ্য হয়েছি।’
ইউরোতে অবিশ্বাস্য নৈপুণ্যে কীর্তিও গড়েছেন কস্তা। প্রথম গোলকিপার হিসেবে ইউরোর শুটআউটে তিনটি পেনাল্টি সেভ করার নজির গড়েছেন। ম্যাচের পর জানালেন, নিজের সাহসের ওপরই ভরসা করেছিলেন তিনি, ‘আমি শুধু সাহস নিয়ে মাঠে নেমেছি। অবশ্যই শুটারদের আগে বিশ্লেষণ করেছি। তবে খেলোয়াড়রা কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে মন পরিবর্তন করে। বিশেষ করে যেভাবে তারা শট নিয়ে থাকে। যা বুঝেছি সেই অনুসারেই করেছি। আমি ভীষণ ভীষণ আনন্দিত, পাশাপাশি রোমাঞ্চিত এই ভেবে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরেছি।’
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে সেসকোর শট পা দিয়ে রুখে না দিলে ম্যাচটা সেখানেই শেষ হয়ে যেত। কিন্তু সেখানেও ভূমিকা রাখে কস্তার বীরত্ব। ঠিক ওই মুহূর্তটি তার কথা, ‘মনে হয়েছে আমার এটাকে রুখে দেওয়া উচিত। সেজন্য সেরাটা দিতে হবে। তাই সেসকোর শরীরী ভাষা বোঝার চেষ্টা করেছি। সৌভাগ্যক্রমে আমি সেটা করতে পেরেছি। যা ছিল মূল বিষয়।’