২০১৮ বিশ্বকাপে উড়ছিল বেলজিয়াম। গ্রুপ পর্বে শতভাগ সাফল্য অর্জন করে একে একে সব বাধা পেরিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছিল তারা। কিন্তু ফ্রান্স তাদের শিরোপার স্বপ্ন ভেঙে দেয়। পরে তো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার ইউরোতেও সেই ফরাসি বাধায় গত দুইবারের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট বেলজিয়ামকে বিদায় নিতে হলো শেষ ষোলো থেকে। খেলার শেষ দিকে র্যান্ডাল কোলো মুয়ানির শট তাদের খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে জাল কাঁপায়।
বিশ্বকাপ ও ইউরো মিলিয়ে আগের চার ম্যাচের সবগুলো জিতেছিল ফ্রান্স। ৪০ বছর পর ইউরোপিয়ান মঞ্চে প্রথমবারের দেখায় আবারও জয়ের হাসি হাসলো ফরাসিরা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে ১-০ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে কিলিয়ান এমবাপ্পের দল।
প্রথমার্ধে দুই দলের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে বলার মতো সুযোগ এসেছিল একবারই। ৩৪ মিনিটে ফ্রান্স এগিয়ে যেতে পারতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য থুরামের হেড একটুর জন্য গোলপোস্টের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায়। ফরাসি স্ট্রাইকারকে দারুণ ক্রসে বল বানিয়ে দিয়েছিলেন কোন্দে।
হাফটাইমের পর দুই দল মরিয়া হয়ে গোল খুঁজতে থাকে। এমবাপ্পে ও সালিবার শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ফ্রান্সকে হতাশ হতে হয়। ওদিকে মাইক মাইগনান গোলপোস্টের নিচে মজবুত হাতে বেলজিয়ামের দারুণ দুটি প্রচেষ্টা নস্যাৎ করে দেন। ৭০ মিনিটে রোমেলু লুকাকু ও ৮২ মিনিটে কেভিন ডি ব্রুইনার শটের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান ফ্রান্সের গোলকিপার।
তাতে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে আত্মঘাতী গোলে সর্বনাশ হয় বেলজিয়ামের। এন’গোলো কাঁতের বাড়ানো বলে শট নেন মুয়ানি। বেলজিয়ান কিপার কোয়েন ক্যাস্টিলস তার শটের গতি বুঝতে পেরে ডানদিকে ঝাঁপ দেন। কিন্তু জ্যান ভারটনঘেনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায় বল। শটটা কোনও বাধার মুখে না পড়লে বেলজিয়ান কিপার হয়তো বল থামাতে পারতেন।
এই আসরে দ্বিতীয়বার আত্মঘাতী গোলে জয়ের মুখ দেখলো ফ্রান্স। নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়ার আত্মঘাতী গোলে শুভ সূচনা হয়েছিল ফ্রান্সের। গ্রুপের পরের দুটি ম্যাচ তারা গোলশূন্য ও ১-১ এ ড্র করে শেষ ষোলোতে উঠেছিল। সোমবার ডুজলডর্ফে তারা গোল করতে না পারলেও উঠে গেলো শেষ আটে।