অনেক স্বপ্ন নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকায় খেলতে এসেছেন কাজী রাহাদ মিয়া। কিন্তু দুই বছর যেতে না যেতেই সেই স্বপ্ন পূরণের পথে বড় হোঁচট খেলেন এই ডিফেন্ডার।
বাফুফে পাতানো ম্যাচ ও বেটিংয়ের কারণে বড় শাস্তি দিয়েছে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে। এই অপরাধে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি হয়েছে খেলোয়াড়দেরও! তাদের মাঝে অন্যতম কাজী রাহাদ। ক্যারিয়ারের শুরুতে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞার খবরে অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন তিনি। লজ্জায় বাসা থেকেই বের হতে পারছেন না!
কিন্তু দোষী সাব্যস্ত কাজী রাহাদ দলের বেটিং বা ফিক্সিং কোনোটির সঙ্গে জড়িত নন বলে জানালেন বাংলা ট্রিবিউনকে, ‘আমি কোনোভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নই। ঢাকায় এসেছি বড় ফুটবলার হতে। কিন্তু কি থেকে কি হয়ে গেলো, বুঝতে পারছি না। এখন তো লজ্জায় বাসা থেকে বের হতে পারছি না। পরিবারসহ সবার কাছে কী জবাব দেবো।’
১৮ বছর বয়সী ফুটবলারের স্বপ্ন এভাবেই শেষ হয়ে যাবে, তা কখনও কল্পনাতে আনেননি রাহাদ, ‘আমি অনূর্ধ্ব ১৯ দলে খেলেছি। এবার লিগে ১৯টি ম্যাচে মাঠে ছিলাম। সামনে বড় দলগুলো থেকে খেলার আমন্ত্রণও পেয়েছি। এ অবস্থায় নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কেন জড়াবো? এখন আমি কী করবো বুঝতে পারছি না। আমার মতো অন্যান্য তরুণ ফুটবলাররাও কোনও দিক খুঁজে পাচ্ছে না।'
যদিও এই শাস্তির বিপক্ষে আপিলের সুযোগ আছে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হবে কিনা, নিশ্চিত নন রাহাদ।
একই অপরাধে দলটির কর্মকর্তা ও বিদেশি খেলোয়াড় ছাড়াও গোলকিপার আপেল মাহমুদ ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন। খেলোয়াড় আবুল কাশেম, আল আমিন, মোহাম্মদ রকি, জাহিদ হোসেন, রাহাদ মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান সৈকত, শামীম রেজাকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে তিন বছর।
এছাড়াও দলটির খেলোয়াড় ওমর ফারুক, রাকিবুল ইসলাম, মেহেদী হাসান ফাহাদ ও মিরাজ মোল্লাকে ২ বছরের জন্য ফুটবল সংশ্লিষ্ট সব কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।