গত ১৯ এপ্রিল লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে আইপিএলে সর্বকনিষ্ঠ অভিষিক্তের মর্যাদা পান বৈভব সূর্যবংশী। ২০ বলে ৩৪ রান করে ঝলক দেখান তিনি। সোমবার গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে গড়লেন বিশ্বরেকর্ড। তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নেমেই প্রথম ফিফটিকে একশতে নিলেন বৈভব। তাতে হয়ে গেলো দুটি বিশ্ব রেকর্ড।
১৪ বছর ৩২ দিন বয়সী বৈভব তিনটি চার ও ছয়টি ছয়ে টি-টোয়েন্টির সর্বকনিষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরিয়ান হন। আফগানিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর ছেলে হাসান ইসাখিলের রেকর্ড ভাঙেন তিনি। ২০২২ সালে কাবুল ঈগলসের বিপক্ষে বুস্ট ডিফেন্ডার্সের হয়ে স্পাগিজা রিগে ১৫ বছর ৩৬০ দিন বয়সে ওই কীর্তি গড়েন আফগান তরুণ।
এছাড়া সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আইপিএলে ১৭ বলে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন বৈভব। ২০১৯ সালে ১৭ বছর ও ১৭৫ দিন বয়সী রিয়ান পরাগের রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।
গুজরাটের দেওয়া ২১০ রানের লক্ষ্যে নেমে চলতি আইপিএলে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি করেন বৈভব। ওখানেই থামেননি। ১১তম ওভারে রশিদ খানকে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টির সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরিয়ান হন তিনি। ২০১৩ সালে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে মহারাষ্ট্রের বিপক্ষে ১৮ বছর ১১৮ দিন বয়সী বিজয় জোলের রেকর্ড ভাঙলেন বৈভব।
এছাড়া বৈভব করেন আইপিএলের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরি। ৩৫ বলে সাত চার ও ১১ ছয়ে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান তিনি। তার চেয়ে পাঁচটি বল কম খেলে প্রতিযোগিতার দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড দখলে রেখেছেন ক্রিস গেইল। ২০১৩ সালে বেঙ্গালুরুর হয়ে ৩০ বলে শতক হাঁকান ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান তারকা।
পরের ওভারে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার ইয়র্কারে বৈভবকে থামতে হয়েছে। ৩৮ বলে ৭ চার ও ১১ ছয়ে তিনি ১০১ রান করে বোল্ড হন। যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে ওপেনিংয়ে তিনি ৭১ বলে ১৬৬ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান।