চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনে দুই সেশনে ছিল জিম্বাবুয়ের দাপট। শেষ সেশনে তারা হারিয়েছে সাত উইকেট। বিপর্যয়ের শুরুটা হয়েছিল শন উইলিয়ামস বাজে শট খেলে আউট হওয়ার পর। তার আউটের ধরনে নাখোশ নন জিম্বাবুয়ের সহকারী কোচ ডিওন ইব্রাহিম।
বাংলাদেশ সফরে টানা দুটি ফিফটি মেরেছেন উইলিয়ামস। নাঈম হাসানকে প্যাডেল সুইপ করতে গিয়ে আউট হন ৬৭ রান করে। তারপর ধস নামে। ৪ উইকেটে ১৭৮ রান করা জিম্বাবুয়ে দিন শেষ করেছে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে।
ইব্রাহিম ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের বললেন, ‘শট বাছাই কিংবা সেটি খেলার সিদ্ধান্তে আমি হতাশ নই। উইলিয়ামস স্পিনে বিশ্বমানের খেলোয়াড় এবং স্পিনের বিরুদ্ধে সুইপ শটে অন্যতম সফল ব্যাটার একজন সে।’
৫৪ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া নিক ওয়েলচের ক্র্যাম্প বড়সড় ছিল বললেন তিনি, ‘ওই শটটা খেলা কি ঠিক ছিল? অবশ্যই। সম্ভবত ওই সময় তার শট ভালোভাবে নেওয়া হয়নি। কিন্তু ভুল ছিল না। আর নিকের হ্যামস্ট্রিং ও হাতে গুরুতর ক্র্যাম্প হয়েছিল। চা বিরতির ঠিক আগে সেটা আরও খারাপ পর্যায়ে পৌঁছায়। মাঠেই তার চিকিৎসা নিতে দেখেছেন আপনারা। চা বিরতির সময় সে ড্রেসিংরুমে আসার পর আমরা তার চিকিৎসা করি। দুর্ভাগ্যবশত চা বিরতির পর তার অবস্থা দ্রুত খারাপের দিকে গেছে। এজন্য স্বেচ্ছায় অবসর নিতে হয়েছে। আশা করছিলাম দ্রুত সে ফিরতে পারবে।’
ইব্রাহিম জানালেন, তারা প্রথম ইনিংসে স্কোরবোর্ডে আরও ৪০-৫০ রান যোগ করতে চান। তার আশা, উইকেট যেভাবে টার্ন নিচ্ছে তাতে করে তাদের স্পিনাররা ভালো কিছু করে দেখাতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘নিশ্চয় আমরা একটু হতাশ। আরও ৪০-৫০ রান তুলতে পারলে ভালো হবে। এটা ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে আমরা জেনেই এসেছি যে উইকেট টার্ন নিতে পারে। আমরা এই কন্ডিশনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি। আমাদের কয়েকজন খেলোয়াড় এখানে আগে খেলেছে। তাই এটা অবাক করার মতো কোনও ব্যাপার ছিল না।’
খেলা দুই দলের দিকেই ঝুকে আছে মনে করেন তিনি, ‘প্রথম সেশন থেকে পিচ টার্ন করছে। তাই আমরা আশাবাদী। আমাদের বাড়তি স্পিনার নেওয়ার কারণ আছে। দুই দলের প্রথম ইনিংসে ব্যাট শেষ না করা পর্যন্ত, আমি মনে করি খেলা দুই দলের দিকেই আছে।’
অভিষিক্ত লেগ স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসাকে নিয়ে এসেছে জিম্বাবুয়ে। আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে ইব্রাহিম বললেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমাদের বোলিং আক্রমণ বাংলাদেশ ব্যাটারদের চাপে রাখতে পারবে। যেমনটা বলছিলাম, পিচে এরই মধ্যে বেশ ভালো টার্ন নিতে শুরু করেছে।’