প্রথম পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটি জয়ে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ছিল টেবিলের তলানিতে। তারপর শুরু হয়েছে তাদের জয়যাত্রা। রবিবার ওয়াংখেড়েতে তারা হারালো লখনউ সুপার জায়ান্টসকে। তাতে জমে উঠেছে প্লে অফে ওঠার লড়াই। রায়ান রিকেলটন ও সূর্যকুমার যাদবের হাফ সেঞ্চুরির পর লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের ক্যামিও ইনিংসে ২১৫ রানের বড় সংগ্রহ করে পাঁচবারের সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। লখনউ লড়াইয়ের আভাস দিলেও জসপ্রীত বুমরা ও ট্রেন্ট বোল্টের পেসে পরাস্ত হয়। টানা পাঁচ জয়ে টেবিলের দুই নম্বরে উঠে গেছে মুম্বাই।
৭ উইকেটে ২১৫ রান করে মুম্বাই লখনউকে ৫৪ রানে হারিয়েছে। শেষ বলে ১৬১ রানে লখনউকে অলআউট করে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় তারা। লিগ পর্বে প্রথমবার এই দলকে হারালো মুম্বাই। ৬-১ এ এগিয়ে থেকে মুম্বাইয়ের মুখোমুখি হয়েছিল লখনউ, একমাত্র হার ছিল নকআউটে। ষষ্ঠ জয়ে মুম্বাই ১০ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্ট পেয়েছে। সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে পঞ্চম হারে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে লখনউ।
২১৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে মুম্বাই ১৮ রানে ভাঙে লখনউর উদ্বোধনী জুটি। বুমরা ফেরান এইডেন মারক্রামকে (৯)। নিকোলাস পুরান ও মিচেল মার্শ হাল ধরেছিলেন। কিন্তু সপ্তম ওভারে উইল জ্যাকসের জোড়া আঘাতে পুরান (২৭) ও রিশাভ পান্ত (৪) আউট হন।
তারপর আয়ুশ বাদোনি ও মার্শ মিলে লড়াই চালিয়ে যান। ১২তম ওভারে ভাঙে ৪৬ রানের জুটি। মার্শ ৩৪ রানে আউট হন।
১৫তম ওভার থেকে নামে ধস। ট্রেন্ট বোল্ট ফেরান বাদোনিকে (৩৫)। ১৬তম ওভারে বল হাতে নিয়ে ডেভিড মিলার (২৪), আব্দুল সামাদ (২) ও আবেশ খানকে (০) প্যাভিলিয়নে পাঠান বুমরা।
পাঁচ বলে দুই রানের মধ্যে তিন উইকেট হারানোর পর কেবল হারের ব্যবধান কমাতে পেরেছে লখনউ। ইনিংসের শেষ বলে বোল্ট তৃতীয় উইকেট পেলে অলআউট হয় তারা। ৪ ওভারে ২০ রান দেন নিউজিল্যান্ড পেসার। বুমরা চার উইকেট নিয়েছেন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে।
এর আগে রোহিত শর্মা দুটি ছক্কা মেরে দারুণ শুরু করেন। তৃতীয় ওভারে মাত্র ১২ রানে তাকে মায়াঙ্ক যাদবের শিকার হতে হয়। রিকেলটন ও জ্যাকস ৫৫ রানের জুটি গড়েন। রিকেলটন ৩২ বলে ৬ চার ও ৪ ছয়ে ৫৮ রানে আউট হন।
জ্যাকস ২৯ রানে ফিরে যাওয়ার পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় মুম্বাই। সূর্যকুমার ২৮ বলে চারটি করে চার ও ছয়ে ৫৪ রান করেন। শেষ দিকে নামান ধির ও করবিন বশ যথাক্রমে ১১ ও ১০ বলে ২৫ ও ২০ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে স্কোর দুইশ পার করেন।
২১ বলে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পর ১৮ রানে দুটি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন জ্যাকস।