তাওহীদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে নাটকের নতুন মোড়। আরেকবার আচরণবিধি লংঘন করে আবার নতুন করে শাস্তি পেলেন মোহামেডান অধিনায়ক। ঢাকা সুপার লিগে আগামী ২৯ এপ্রিল আবাহনীর বিপক্ষে ‘অলিখিত ফাইনালে’ খেলতে পারবেন না তিনি। একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।
গত ১২ এপ্রিল আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি জানানোর পর সংবাদ সম্মেলনেও তাদের সমালোচনা করে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হন হৃদয়। পরে তা এক ম্যাচ কমানো, আবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া ও পরে এক বছর নিষেধাজ্ঞা পিছিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।
তামিম ইকবাল ও অন্যান্য সাবেক-বর্তমান ক্রিকেটাররা শুক্রবার হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ জানিয়ে বিসিবি প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরই বাকি থাকা এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা পরের আসর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আরও একবার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত না মেনে অসন্তুষ্টি দেখিয়ে শাস্তির মুখে পড়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক। আগে ছিল সাতটি ডিমেরিট পয়েন্ট, এবার যুক্ত হলো আরেকটি। এজন্য তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হওয়ার কথা তার। এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেলেছেন। আরেকটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন আসরের প্রথম ম্যাচে। নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে আবাহনীর বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেলা হবে না তার।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে জয়ের দিনে ৫৪ বলে ৩৭ রান করেন হৃদয়। ওয়াসি সিদ্দিকির বলে গালিতে ক্যাচ আউট হন। তারপর আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে দুইহাত প্রসারিত করে প্রতিক্রিয়া দেখান। মাঠ ছাড়ার আগে বেশ কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি, যা শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। এতে তাকে নতুন করে একটি ডিমেরিট পয়েন্টের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।