ইমরানুজ্জামানের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে (১২৩) রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। আগে ব্যাটিং করে অগ্রণী ব্যাংক ৩৪০ রানের পাহাড় গড়ে। জবাবে চলতি মৌসুমে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা সন্দ্বীপ রায়ের বোলিং তোপে পড়ে গুলশানের ইনিংস থামে ২০৩ রানে। তাতে ১৩৭ রানের বড় জয় পেয়েছে ইমরুল কায়েসরা।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংকের দেওয়া ৩৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পেসার সন্দ্বীপ রায়ের পেস বোলিংয়ে ৮৫ রানে টপ অর্ডার ৫ ব্যাটারের বিদায়ে খেই হারায় গুলশান। ৬ষ্ঠ উইকেটে নিহাদুজ্জামান ও শাকিল হোসেন ৮৮ রানের জুটিতে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। এই জুটির কারণে গুলশানের রান দুইশ অতিক্রম করেছে। নিহাদ ৪৯ রানে রানআউট হলে ভাঙে এই জুটি। নিহাদের আউটের পর শাকিলও ৫৯ রানে আউট হন। এর বাইরে হাবিবুর শেখ মুন্না খেলেন ৩৯ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৪৬.৫ ওভারে ২০৩ রানে থামে গুলশানের ইনিংস।
অগ্রণী ব্যাংকের বোলারদের মধ্যে সন্দ্বীপ সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট শিকার করেন। এছাড়া শুভাগত ও তাইবুর নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া অগ্রণী ব্যাংকের ব্যাটাররা তোপ দাগান গুলশানের বোলারদের ওপর। দুই ওপেনার ইমরানুজ্জামান ও অমিত হাসান মিলে ১১৮ রানের জুটি গড়েন। অমিত ৪২ বলে আউট হওয়ার পর ইমরুল কায়েস (১৩) ও মার্শাল আইয়ুব (৩) দ্রুত আউট হন। এরপর চতুর্থ উইকেটে তাইবুরকে সঙ্গে নিয়ে ইমরানুজ্জামান ৬৬ রানের জুটি গড়ে দলের স্কোরকে তিনশর কাছাকাছি নিয়ে যান। আউট হওয়ার আগে ইমরান লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন। খেলেন ১২৩ রানের ইনিংস। ১০৮ বলে ১৭ চার ও ২ ছক্কায় তিনি এই ইনিংসটি সাজান। এছাড়া তাইবুর রহমান ৬০ ও প্রীতম কুমার ৫৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। সবমিলিয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৪০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় অগ্রণী ব্যাংক।
গুলশান ক্লাবের বোলারদের মধ্যে মইনুল ইসলাম সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন। দুটি করে উইকেট নেন নিহাদউজজামান ও খালিদ হাসান।