আম্পায়ারদের সঙ্গে অসদাচরণের কারণে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন মোহামেডানের তাওহীদ হৃদয়। কিন্তু লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার সুযোগ না পেলেও তাওহীদকে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে দেখা যায়। দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায় তিনি কীভাবে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলেন, সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও এই ব্যাপারে স্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এসব ঘটনায় শরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত বিসিবির অধীনে আম্পায়ারিং থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিসিবি অবশ্য এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিবির এক পরিচালক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমি যতদূর জেনেছি সৈকত পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছে। কিন্তু আমরা তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করছি না। সে আমাদের দেশের সম্পদ, তাকে ছাড়বো না। সৈকত দ্রুতই নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবে।’
এর আগে তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তির ব্যাপারে আপিল করে মোহামেডান। তবে সিসিডিএম টেকনিক্যাল কমিটি হৃদয়ের ওপর ধার্য করা দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কমাতে আগ্রহী ছিল না। তাদেরকে টপকে বিসিবি এবং আম্পায়ার্স কমিটির একক সিদ্ধান্তে তাওহীদের শাস্তি কমানো হয়, বদলে ফেলা হয় নিয়মও। টেকনিক্যাল কমিটির দুই সদস্য এনামুল হক মনি ও নিয়ামুর রশিদ রাহুল কেউই জানতেন না শাস্তি কমানোর বিষয়টি। এর জেরে মনি টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে বুধবার বিকালে আম্পায়ার্স কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে ম্যাচ রেফারিসহ বিসিবির তালিকাভুক্ত আম্পায়ারদের বেশ কয়েকজন থাকার কথা হয়েছে। তবে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পালকে। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে নিয়ামুর রশিদ রাহুলের সঙ্গে বাক বিতণ্ডায় জড়িয়েছেন দেবব্রত। অভিযোগ উঠেছে দেবব্রত সভাতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বাজে আচরণ করেছেন। যদিও দেবব্রত দাবি করেছেন, এমন কিছু তিনি করেননি।