৮২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষে করেছে ১ উইকেটে ৫৭। ২৫ রান পিছিয়ে থেকে তৃতীয় দিনের সকাল শুরু করবে স্বাগতিকরা। ক্রিজে মাহমুদুল হাসান জয় ২৮ ও মুমিনুল হক ১৫ রানে ব্যাটিং করছেন। খুব ভালো অবস্থানে যে আছে বাংলাদেশ, সেটি বলা যাবে না। সিলেট টেস্টে এই মুহূর্তে দুই দলই সমান অবস্থানে আছে। তবে তৃতীয় দিন যে দল রাজত্ব করবে, এই টেস্ট তারই হবে- এটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। সোমবার ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসেন জিম্বাবুয়েকে খুব বেশি রান করতে না দেওয়ার নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
সংবাদ সম্মেলন তৃতীয় দিনে নিজের লক্ষ্যের কথা তুলে ধরে মিরাজ বলেছেন, ‘দ্বিতীয় ইনিংসে আপাতত আমাদের লক্ষ্য লিড নেওয়ার পর ৩৫০-৪০০ রানের সংগ্রহ দাঁড় করানো। যেহেতু হাতে এখনও আছে ৯ উইকেট। তবে ব্যাটারদের দায়িত্ব নিতে হবে, দুই একজনকে বড় ইনিংস খেলতে হবে। তাহলে চতুর্থ ইনিংসে এটা জিম্বাবুয়ের জন্য কঠিন হবে। কারণ উইকেটের চরিত্র প্রতি মুহূর্তেই বদলায়।’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বোলাররা দাপট দেখালেও ব্যাটাররা থাকেন নিষ্প্রভ। ফলে ভালো অবস্থা থেকেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে তারা। সিলেট টেস্টেও একই অবস্থা দেখা গেছে। ব্যাটিং ব্যর্থতার পর বোলারদের দৃঢ়তায় ম্যাচে ফিরেছে বাংলাদেশ। এখন দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে কিনা সেটাই দেখার। ব্যাটারদের দায়িত্বশীলতার ওপরই নির্ভর করছে অনেক কিছু। ইতিমধ্যে বাজে শট খেলে সাজঘরে ফেরেছেন সাদমান ইসলাম। ক্রিজে মুমিনুল ও জয় মঙ্গলবার নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারবে।
মিরাজ জানালেন ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট এখনো অনেক ভালো, ‘এখন যে উইকেট আছে, আমার মনে হয়, আমরা যদি ভালোভাবে ব্যাটিং করতে পারি, ইনশাআল্লাহ আমরা চেষ্টা করব, ৩৫০ থেকে যদি ৪০০ রান করতে পারি, এটা আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো হবে। আর টেস্ট ক্রিকেটে যদি ৩০০ রান লক্ষ্য দেওয়া হয়, চতুর্থ ইনিংসে এটা প্রতিপক্ষের জন্য অনেক কঠিন। কারণ উইকেটে অনেক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আমাদের ব্যাটারদের ওই দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে হবে।’
তবে পরিসংখ্যান বলছে সিলেটের মাঠে টেস্টে ৪০০ তো দূরে, ৩৫০ রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ইনিংস ব্যাটিং করে ৫ বার অলআউট হয়েছে ২০০ রানের আগে। সর্বোচ্চ স্কোর ৩৩৮ ও ৩১০ রান। যা ২০২৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মঙ্গলবার বাংলাদেশের ব্যাটাররা কতটা দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে পারেন সেটাই দেখার!