পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই নিশ্চিত ছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট। কিন্তু বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। তাতে নিগার সুলতানাদের সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে গেছে।
পাকিস্তান এরই মধ্যে মূল পর্ব নিশ্চিত করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এই ম্যাচ হারায় নির্বিঘ্নে সরাসরি বিশ্বকাপের টিকিট টাকার সুযোগ হাতছাড়া করেছে। এখনও সুযোগ আছে। সেটার জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ-থাইল্যান্ড ম্যাচে তাকিয়ে থাকতে হবে। ক্যারিবিয়ানরা হারলেই বাংলাদেশ মূল পর্বের টিকিট কাটবে। অবশ্য ক্যারিবিয়ান জিতলে তখন রান রেটের হিসেব চলে আসবে। রান রেটে তারা বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে। ফলে থাইল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারাতে হবে ক্যারিবিয়ানদের।
এদিন, বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে তাদের ব্যাটিং। ৫০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১৭৮ রানই সংগ্রহ করতে পেরেছে। জবাবে অনায়াসে সেই লক্ষ্য তাড়া করেছে পাকিস্তান। ৩৯.৪ ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছে।
শুরুর ওভারে দ্বিতীয় বলে উইকেট হারালেও সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে পাকিস্তান। যার মঞ্চ গড়ে দিয়েছেন ওপেনার মুনিবা আলী। ৯৩ বলে ৬৯ রানের সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন তিনি। তাতে ছিল ৮টি চারের মার। সঙ্গী সিদরা আমিন (৩৩) ৮২ রানে ফিরলেও দলকে জয়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন মুনিবা। তিনি ফেরেন দলীয় ১৫৬ রানে। ম্যাচসেরাও মুনিবা। তার পর দলকে জয়ের পথে টেনে নেন আরেক হাফসেঞ্চুরিয়ান আলিয়া রিয়াজ। ৬৫ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছেন তিনি। সঙ্গে ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নাতালিয়া পারভেইজ।
বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন মারুফা আক্তার, নাহিদা আক্তার ও রাবেয়া খান।
এর আগে শুরুতে টস জিতে আসা-যাওয়ার মিছিলে ছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। মূলত মাঝের দিকে তিনটি জুটি বাংলাদেশকে সম্মানজনক সংগ্রহ পেতে সহায়তা করেছে। যার মূল কারিগর ছিলেন রিতু মনি। শুরুতে শারমিন আক্তারকে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৪ রান। সেই রিতু মনি নাহিদাকে নিয়েও পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ৪৪। ষষ্ঠ উইকেটে ফাহিমাকে নিয়ে ২৭ রানের জুটিতে লড়াই চালিয়ে যান তিনি। ৭৬ বলে সর্বোচ্চ ৪৮ রানে রিতু আউট হলে হাল ধরার কাজটা করেন ফাহিমা। রিতুর দায়িত্বশীল ইনিংসে ছিল ৫টি চার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেও বাকিরা সঙ্গ দিতে পারেননি তাকে। ফাহিমা ৫৩ বলে ৪ চারে ৪৪ রানে অপরাজিত থেকেছেন।
পাকিস্তানের হয়ে ২৮ রানে তিনটি উইকেট নেন সাদিয়া ইকবাল। ৪৫ রানে দুটি নেন ফাতিমা সানা, সমান রানের বিনিময়ে দিয়ানা বেগও দুটি উইকেট শিকার করেছেন।