রাজস্থান রয়্যালসের কাছে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দিল্লি ক্যাপিটালস হারই দেখছিল। মিচেল স্টার্ক নিজের শেষ দুই ওভার চমৎকার বোলিংয়ে রাজস্থানকে আটকে দিয়ে ম্যাচ সুপার ওভারে নেন। ম্যাচ নিষ্পত্তির এই ওভারেও বল হাতে দারুণ অবদান রাখেন তিনি দুটি রান আউট করে। সুপার ওভারে মাত্র ১২ রান ডিফেন্ড করতে পারেনি রাজস্থান। তাদেরকে হারিয়ে ছয় ম্যাচ শেষে গুজরাট টাইটান্সকে টপকে আইপিএলের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠলো দিল্লি।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দিল্লি ৫ উইকেটে ১৮৮ রান করে। শুরুটা ভালো হয়নি তাদের। জেক ফ্রেসার ম্যাকগুর্ক (৯) ও করুন নায়ার (০) চার বলের মধ্যে বিদায় নেন।
লোকেশ রাহুল ও অভিষেক পোরেলের ৬৩ রানের জুটিতে ওই ধাক্কা সামলে নেয় দিল্লি। রাহুল ৩২ বলে ৩৮ রান করে জোফরা আর্চারের শিকার হন ১৩তম ওভারে। পরের ওভারে অভিষেককে (৪৯) এক রানের আক্ষেপে পোড়ান ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ৩৭ বলের ইনিংসে পাঁচ চার ও এক ছয় মারেন এই ওপেনার।
এরপর ট্রিস্টান স্টাবস ও অক্ষর প্যাটেলের আক্রমণাত্মক ব্যাটিং। ৪১ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন তারা ১৯ বলে। ১৪ বলে চারটি চার ও দুটি ছয়ে ৩৪ রান করেন স্টাবস। অক্ষর তার চেয়ে চারটি বল বেশি খেলে সমান রানে অপরাজিত ছিলেন। আশুতোষ শর্মার ১৫ রানের হার না মানা ইনিংসও ভালো ভূমিকা রাখে।
রাজস্থানের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন আর্চার।
লক্ষ্যে নেমে শুরুটা দারুণ এনে দেন সাঞ্জু স্যামসন ও যশস্বী জয়সওয়াল। ষষ্ঠ ওভারে স্যামসন সাইড স্ট্রেইন নিয়ে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে ৬১ রানের জুটি গড়েন। ১৯ বলে ২ চার ও ৩ ছয়ে ৩১ রান করেন তিনি।
রিয়ান পরাগ (৮) বেশিক্ষণ টেকেননি। জয়সওয়াল ৩৭ বলে ৩ চার ও ৪ ছয়ে ৫১ রান করে আউট হন। তারপর নিতিশ রানা দারুণ এক ইনিংস খেলে রাজস্থানকে লড়াইয়ে রাখেন। তবে মিচেল স্টার্ক শেষ দুই ওভারে বাজিমাত করেন। ১৮তম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ১৬১ রানে তার বিদায়ে ধাক্কা খায় দল। ২৮ বলে ৫১ রান করে অস্ট্রেলিয়ান পেসারের শিকার হন তিনি। ওই ওভারে স্টার্ক ৮ রান দেন এক উইকেটের বিনিময়ে।
অবশ্য নেমেই শিমরন হেটমায়ার চার মেরে গ্যালারি মাতান। শেষ দুই ওভারে লাগতো ২৩ রান। ধ্রুব জুরেল ছক্কা মেরে শেষের আগের ওভারে ১৪ রান তোলেন। শেষ ওভারে প্রয়োজন ৯ রান। কিন্তু স্টার্কের দারুণ বোলিংয়ে ৮ রান করে এই জুটি। শেষ বলে জয়সূচক দ্বিতীয় রান নিতে গিয়ে জুরেল রানআউট হন ২৬ রান করে। ৪ উইকেটে ১৮৮ রান করে রাজস্থান।
চলতি আইপিএল প্রথম সুপার ওভারেও বল হাতে নেন স্টার্ক। দ্বিতীয় বলে হেটমায়ার চার মারেন। চতুর্থ ডেলিভারিতে পায়ের নো বলসহ আরেকটি বাউন্ডারি দেন এই পেসার। পরের দুই বলে স্টার্কের ক্ষিপ্রতায় দুটি রানআউটে রাজস্থানকে ১২ রানে আটকে ফেলে দিল্লি। তারপর সন্দীপ শর্মাকে পাত্তাই দেননি রাহুল ও স্টাবস। প্রথম তিন বলেই একটি চারসহ ৭ রান করেন রাহুল। চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে স্বাগতিক গ্যালারি উচ্ছ্বাসে মাতান স্টাবস।
এনিয়ে পাঁচটি সুপার ওভার খেলে আইপিএলের রেকর্ড চারটিতে জিতলো দিল্লি, পেছনে ফেললো তিনবার (চার ম্যাচে) সুপর ওভারে জেতা পাঞ্জাব কিংসকে।
পঞ্চম জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেলো দিল্লি। তাদের পরেই অবস্থান করছে গুজরাট (৮)।