ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। দুই দলের সুপার লিগ নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তবু এই ম্যাচের গুরুত্ব ছিল কে কতটা এগিয়ে থেকে সুপার লিগ খেলতে পারে। দুই দলের লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতেছে অগ্রণী ব্যাংক। রূপগঞ্জকে ৮৯ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে অগ্রণী ব্যাংক পয়েন্ট টেবিলের ৫ নম্বরে থেকে সুপার লিগে অংশ নেবে। আর ছয় নম্বরে থেকে খেলবে রূপগঞ্জ।
সাদমান ইসলামের ৮৯ রানের পর অমিত হাসানের ৫৯ ও ইমরানুজ্জামানের ৫০ রানে দাঁড়িয়ে ৩০৬ রান করে অগ্রণী ব্যাংক। জবাবে রূপগঞ্জের ব্যাটাররা খেই হারিয়ে ফেলে। বেশ কয়েকজন ব্যাটার ভালো শুরুর পরও ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। আগের ম্যাচে দারুণ ইনিংস খেলা সৌম্য আজ আউট হয়েছেন ৩২ রানে। সর্বোচ্চ ৩৩ রান আসে মাহমুদুলের ব্যাট থেকে। আকবর আলী ৩১ ও তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রানের ইনিংস। ব্যাটারদের কেউ বড় ইনিংস খেলতে না পারায় ৪০.১ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২১৭ রানে থামে রূপগঞ্জ। তাতে ৮৯ রানের বড় জয় পেয়ে যায় অগ্রণী ব্যাংক।
অগ্রণীর বোলারদের মধ্যে রবিউল হক সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া শহিদুল ইসলাম ও আরিফ আহমেদ নেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে অগ্রণীর দুই ওপেনার সাদমান ও ইমরানুজ্জামান মিলে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। ৬৭ বলে ৫০ রান করে ইমরান আউট হলে ক্রিজে নামেন অমিত হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে এবার তাকে সঙ্গে নিয়ে সাদমান ৮৪ রানের জুটি গড়ে আউট হন। সেঞ্চুরির সুবাস পাওয়া সাদমান শেখ মেহেদীর বলে ক্লিন বোল্ড হন ১৩ রান দূরে থাকতে। ১০৪ বলে ১২ চারে নিজের ৮৭ রানের ইনংসটি সাজান তিনি। এরপর অমিত ও মার্শালের মধ্যে জুটি হয় ৪৯ রানের। এই জুটির পর আর কোনও বড় জুটি হয়নি। সবমিলিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান সংগ্রহ করে অগ্রণী ব্যাংক। অমিত ৫৯ ও মার্শাল খেলেন ৪৮ রানের ইনিংস।
রূপগঞ্জের বোলারদের মধ্যে রেজাউর রহমান রাজা সর্বোচ্চ দুটি উইকেট শিকার করেন। একটি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম, শেখ মেহেদী, সামিউন বশির রাতুল ও সাইফ হাসান।
বিকেএসপিতে অনুষ্ঠিত অপর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ধানমন্ডি ক্লাব ও পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। ধানমন্ডি ক্লাবকে দুই উইকেটে হারিয়েও রেলিগেশন লিগ এড়াতে পারেনি পারটেক্স। রবিবার আগে ব্যাটিং করে ধানমন্ডি ক্লাব ২২৯ রান করে। ইয়াসির আলী ৯০ ও মইন খান ৮০ রানের ইনিংস খেললেও বাকিরা ছিলেন ব্যর্থ। ২৩০ রানের জবাবে আহরার আমীন পায়েনের অপরাজিত ৮৫ রানের ইনিংসে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে পারটেক্স। দারুণ ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন পায়েন।
১১ ম্যাচে ৩ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের দশ নম্বরে পারটেক্স। তাদের সঙ্গে রেলিগেশন লিগ খেলবে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন। অন্যদিকে সুপার লিগে উঠতে ব্যর্থ হওয়া ধানমন্ডি ক্লাব পয়েন্ট টেবিলের ৮ নম্বরে অবস্থান করছে। ১১ ম্যাচে ৫ জয়ে তাদের পয়েন্ট ১০।