নবম ওভারে বোলিংয়ে এসেই টানা তিন উইকেট শিকার করেন লেগ স্পিনার ফাহিমা। এরপর আক্রমণে আসেন অফস্পিনার জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। টানা চারটি উইকেট তুলে নিয়ে থাইল্যান্ডের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন তিনি। পরের উইকেটটি নেন ফাহিমা। এরপর থাইল্যান্ডের নবম উইকেট তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট তুলে নেন সুমনা। তার বোলিং কোটা শেষ হওয়ার পর ফাহিমা শেষ উইকেটটি তুলে নিয়ে ৫ উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। পৃথিবীর ক্রিকেট ইতিহাসে এক ইনিংসে দুই বোলারের পাঁচ উইকেটের কীর্তি নেই আর। ইতিহাসের অংশ হওয়া বাংলাদেশের দুই স্পিনারের কাছে এই অর্জন বিশেষ কিছু।
প্রায় সাত বছর পর ওয়ানডে খেলতে নেমে একপর্যায়ে ১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে নেন সুমনা। পরে আরও ৬ রান খরচ করেন তিনি। নিজের এই অর্জন নিয়ে সুমনা বলেছেন, ‘এটা আমার প্রথম ৫ উইকেট। বাংলাদেশের জন্য প্রথমবার বোলিং করে উইকেট নেওয়া, আমার জন্য অনেক বিশেষ একটা ব্যাপার। সারাজীবন মনে রাখার মতো স্মৃতি। আমি একটু দেরিতেই বোলিংয়ে আসি। তখন হয়তো চিন্তা ছিল না যে ৫ উইকেট পাবো। আমি শুধু প্রক্রিয়াটা অনুসরণের চেষ্টা করছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ফল এসেছে।’
সুমনার কল্পনাতেও ছিল না এমন কিছু অর্জন করবেন, ‘সত্যি বলতে, কখনও এভাবে (৫ উইকেট বা কোনও লক্ষ্য) আমি চাই না। এই ম্যাচেও চাওয়া হয়নি। চেষ্টা করছিলাম, কোচ যেভাবে বলেছেন উইকেট টু উইকেট বল করতে। সেটাই চেষ্টা করছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ সফল হয়েছি।’
ফাহিমা এর আগে একবার টি-টোয়েন্টিতে চার উইকেট নিলেও পাঁচ উইকেট নিতে পারেননি। এবার সেই আক্ষেপ দূর হলো ওয়ানডে ফরম্যাট দিয়ে। ভিডিও বার্তায় নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে এই লেগস্পিনার বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। অবশ্যই আমার জন্য ভালো লাগার অনেক বড় একটা বিষয়। বিগত সময়ে অনেকবার আমার এই সুযোগটা এসেছিল, ৫ উইকেট নেওয়ার। তবে এবারই প্রথম নিতে পারলাম। আমি অনেক খুশি। বিগত সময়ে ৪টা উইকেট পেয়েছি, সুযোগ থাকার পরও ৫টা উইকেট হয়নি। এখন নিতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।’
ফাহিমা নিজের পরিকল্পনা নিয়ে বলেছেন, ‘আমি যেই প্রান্ত থেকে বোলিং করছিলাম, প্রথম বলটা ধরেই আমার মনে হচ্ছিল, আজকে আমার দিন হতেও পারে। উইকেট নেওয়ার সুযোগটা আমার অনেক বেশি ছিল। সেদিক থেকে আমি বলবো, আলহামদুলিল্লাহ।’