বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের নারীদের শুরুটা হলো রেকর্ড গড়া এক জয়ে। নারী ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাধারণত পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের বিপক্ষে নেমেছিলেন চার নম্বরে। রানরেট কিছুটা স্লো হওয়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। হয়েছেন সফলও। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে দলের স্কোরকে নিয়ে গেছেন বহুদূরে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সংগ্রহ ছিল এদিন। এমন ম্যাচে বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সে থাইদের ৯৩ রানে অলআউট করে বাংলাদেশ ১৭৮ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে। একে তো প্রথম সেঞ্চুরির আনন্দ, পাশাপাশি বড় ব্যবধানে জয় সেই আনন্দ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিসিবির পাঠনো ভিডিও বার্তায় জ্যোতি বলেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! টুর্নামেন্টের প্রথম জয়। দলের জন্য অবদান রাখতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।’
এতদিন বাংলাদেশের একমাত্র ওয়ানডে সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন ফারজানা। দুটি সেঞ্চুরি তার। এখন তার পাশে যোগ হলো জ্যোতির নাম। ফারজানার একটি সেঞ্চুরি ছিল ১৫৬ বলে, আরেকটি ১৬৫ বলে। জ্যোতির ৭৮ বলের সেঞ্চুরি তাই অনায়াসেই বাংলাদেশের দ্রুততম। সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি তুলে নিজের অনুভূতি জানালেন বাংলাদেশের অধিনায়ক, ‘দ্রুততম সেঞ্চুরির কথা আসলে ওইভাবে মাথায় ছিল না যে, দ্রুততম সেঞ্চুরি হতে পারে বা এমন কিছু। লক্ষ্য ছিল দলের রান যেন অন্তত আড়াইশর বেশি হয়।’
জ্যোতিও আরও বলেছেন, ‘পিংকি আপু ও সুপ্তা আপু যখন ব্যাটিং করছিলেন, তখন মনে হচ্ছিল আমি ভালো স্ট্রাইক রেটে দ্রুত রান ওঠানোর চেষ্টা করবো। পরবর্তীতে যারা যাবে ব্যাটিং করতে, তারা যেন আড়াইশর বেশি রানের লক্ষ্যটা পূরণ করতে পারে। আলহামদুলিল্লাহ! সুযোগ ছিল। কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। হয়ে গেছে। আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া।’
লাহোরে বৃহস্পতিবার ব্যাটিংয়ে একগাদা রেকর্ড গড়ে ২৭১ রান তোলে বাংলাদেশ। বোলিংয়ে তো বিশ্বরেকর্ডই হয়ে যায়। দুই স্পিনার ফাহিমা খাতুন ও জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় থাইল্যান্ড। বোলারদের প্রশংসা করে জ্যোতি বলেছেন, ‘বোলাররা আসলেই অসম্ভব ভালো বোলিং করেছে। বিশেষ করে এমন একটা রেকর্ড, এক ইনিংস দুই বোলারের ৫ উইকেট নেওয়া, এটা অনন্য একটা কীর্তি। যেভাবে দলের জন্য তারা অবদান রেখেছে, আসলেই অনুপ্রেরণাদায়ক। আমি আশা করবো, তারা সামনের ম্যাচেও এভাবে খেলতে পারবে।’