অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলে খেলছেন শরিফুল ইসলাম। নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেটও খেলছেন তিনি। তবে লম্বা সময় পেরিয়ে গেলেও ৫ উইকেটের মাইলফলক ছুঁতে পারেননি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সেই আক্ষেপ দূর হয়েছে বাঁহাতি এই পেসারের। সব ফরম্যাট মিলিয়ে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এদিন ব্রাদার্সের বিপক্ষে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে ৪০ রান খরচায় তুলে নেন ৬টি উইকেট। তার বোলিং তোপে ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ১০ রানের জয় পায় রূপগঞ্জ। আগে ব্যাটিং করে ২৭৭ রান তোলে তারা। জবাবে খেলতে নেমে ব্রাদার্স বৃষ্টির আগে ৪৮.৪ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৬০ রান। বৃষ্টির কারণে খেলা পরিত্যক্ত হলেও ডিএল মেথডে ১০ রানে ম্যাচ জেতে সাইফ হাসানের রূপগঞ্জ।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া রূপগঞ্জ নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তোলে। জবাবে খেলতে নেমে শরিফুলের পেসে ৯ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে ব্রাদার্স। তৃতীয় উইকেটে মাহফিজুল ইসলাম রবিন ও আইচ মোল্লা মিলে গড়েন ৮৮ রানের জুটি। আইচ স্লো ব্যাটিং করে ৭৩ বলে ৪৭ রান করে আউট হলে জুটি ভাঙে তাদের। তার এই স্লো ব্যাটিংয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও সেটা থেকে বের হওয়ার চেষ্টা চালান পরের ব্যাটাররা। শেষ ১০ ওভারে ৮৯ রান প্রয়োজন ছিল ব্রাদার্সের। যদিও হাতে ছিল ৩ উইকেট। সেখান থেকে ৮.৪ ওভারে আরও ২ উইকেট হারিয়ে ৭১ রান তুলে ফেলে ব্রাদার্স।
শেষ ৮ বলে ব্রাদার্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৮ রান। এই সময় প্রচন্ড ঝড়ের কারণে দুই দলের ক্রিকেটাররা ড্রেসিংরুমে চলে যান। খেলা গড়ানোর মতো অবস্থা না থাকায় ডিএল মেথডে রূপগঞ্জ ১০ রানের জয় পায়। ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন মাহফিজুর। এছাড়া মাইশুকুর রহমান ৪৬ রান করেন। শেষ দিকে সুমন খান ২৫ বলে ৩৪ এবং জায়েদ উল্লাহ ২ বলে ৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
রূপগঞ্জের বোলারদের মধ্যে শরিফুল ইসলাম ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে তো বটেই। যে কোনও পর্যায়ের ক্রিকেটে সেরা বোলিং ফিগার তার। ১০ ওভারে ৪০ রান খরচায় তার শিকার ৬টি উইকেট। এছাড়া তানজিম হাসান সাকিব ও শেখ মেহেদী হাসান একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রূপগঞ্জের দুই ওপেনার দ্রুত বিদায় নেন। তানজিদ হাসান তামিম (৮) ও সাইফ হাসানের (১৫) বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল হাসান জয় গড়েন ৯৭ রানের জুটি। সৌম্য ৭৯ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৮০ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। পরের ব্যাটারদের মধ্যে জয় খেলেন ৫৯ রানের ইনিংস। এর বাইরে জাকের আলীর ৪৪, সামিউন বশির রাতুলের ২৫ রানের ওপর দাঁড়িয়ে রূপগঞ্জ লড়াকু ইনিংস খেলে।
ব্রাদার্সের বোলারদের মধ্যে ইয়াসির আরাফাত মিশু তিনটি উইকেট শিকার করেন। মাইশুকুর রহমান ও জায়েদ উল্লাহ নেন দুটি করে উইকেট।