ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের নবাগত দল গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম আসরে খেলতে নেমেই চমক দেখিয়েছে তারা। নবম রাউন্ডে এসে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচ জিতে সুপার লিগে খেলার পথটা অনেকটাই সুগম করে ফেললো গুলশান ক্লাব। রবিবার আগে ব্যাটিং করতে নেমে ধানমন্ডি ক্লাব ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান করে। জবাবে খেলতে নেমে গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ২ বল আগে ৮ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে। ৬৭ বলে ৬৮ রান করে গুলশানের জয়ের নায়ক নাঈম ইসলাম।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে গুলশানকে ২৫৯ রানের লক্ষ্য দেয় ধানমন্ডি ক্রিকেট ক্লাব। জবাবে খেলতে নেমে টপ অর্ডারের শুরুটা খুব ভালো হয়নি। আজিজুল হাকিম তামিম (৩৯), লিটন দাস (২৫), আফিফ হোসেন (২৮) ও জাওয়াদ আবরার (২২) কেউই ইনিংসগুলোকে বড় করতে পারেননি। খালেদ হাসানকে নিয়ে নাঈম ৬৮ রানের জুটি গড়েন। খালেদ ৪২ রানে অলআউট হওয়ার পর ইলিয়াস সানির সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়ে আউট হন নাঈম। তখন জয় থেকে মাত্র ৭ রান দূরে ছিল গুলশান ক্লাব। ২ বল হাতে রেখে বাকি রান করে ফেলে গুলশান। নাঈম ৬৭ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। সানি ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
ধানমন্ডি ক্লাবের বোলারদের মধ্যে এনামুল হক আনাম, কামরুল ইসলাম রাব্বি ও মঈন খান প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া ধানমন্ডি ক্লাব ফজলে মাহমুদ রাব্বির ৬৫ রানে ২৫৮ রান সংগ্রহ করে। বাকি ব্যাটারদের মধ্যে সবাই কমবেশি ভালো শুরু পেলেও কেউই ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। হাবিবুর রহমান (৩২), ইয়াসির আলী চৌধুরী (২৮), নুরুল হাসান সোহান (২৪) ও মঈন খানের (২৩) ইনিংস ছিল উল্লেখযোগ্য।
গুলশানের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান ৫৯ রানে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া আসাদুজ্জামান পিয়ালও ৫৯ রানে নেন তিনটি উইকেট। এর বাইরে ইলিয়াস সানি দুটি উইকেট শিকার করেন।