লখনউ সুপার জায়ান্টস ১৭১ রান করে কোনও প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। পাঞ্জাব কিংস এমনভাবে ১৭২ রানের লক্ষ্য ছুঁলো, যেন এটা কোনও ব্যাপারই নয়। গুজরাট টাইটান্সের পর লখনউকে হারিয়ে অন্যদের হুঁশিয়ার করলো তারা।
১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শ্রেয়াস আইয়ার লং অন বাউন্ডারি দিয়ে ছক্কা মারেন। হাফ সেঞ্চুরি হয়ে যায় অধিনায়কের এবং পাঞ্জাব টানা দ্বিতীয় জয়ের আনন্দে মাতে ৮ উইকেটে।
তার আগে লখনউর মাঠে দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি করে জয়ের ভিত গড়ে দেন প্রভসিমরান সিং। ২৩ বলে ফিফটি হাঁকান এই ওপেনার। ৩৪ বলে ৯ চার ও ৩ ছয়ে ৬৯ রান করেন তিনি।
জীবন পাওয়ার দুই বল পর আউট হওয়া প্রিয়াংশ আরিয়া (৮) আউট হলে শ্রেয়াসের সঙ্গে ৮৪ রানের জুটি গড়েন প্রভসিমরান। তিনি আউট হওয়ার পর তৃতীয় উইকেটের জুটিতে জয় পায় পাঞ্জাব। ২৫ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন নেহাল ওয়াধেরা, ৩০ বলে ৫২ রানে খেলছিলেন শ্রেয়াস। আগের ম্যাচে ৯৭ রানে অপরাজিত ছিলেন পাঞ্জাব অধিনায়ক।
২ উইকেটে ১৭৭ রান করে পাঞ্জাব।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে লখনউ পঞ্চম ওভারে ৩৫ রানের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে। মিচেল মার্শ, এইডেন মারক্রাম ও রিশাভ পান্তকে হারায় তারা।
নিকোলাস পুরান ও আয়ুশ বাদোনি ৫৪ রানের জুটিতে ওই ধাক্কা সামলাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দুজনের কেউই চল্লিশের ঘরে পৌঁছালেও হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করতে পারেননি। ৪৪ রানে পুরান আউট হন।
তারপর বিধ্বংসী ব্যাটার ডেভিড মিলার (১৯) দ্রুত বিদায় নেন। শেষ দিকে আব্দুল সামাদের ১২ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়েছিল লখনউ। আয়ুশ ৪১ রানের ইনিংস খেলেন।
পাঞ্জাবের পক্ষে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন আর্শদীপ সিং।
লখনউ তিন ম্যাচে দ্বিতীয় হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে। ২ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে পাঞ্জাব।