নিউজিল্যান্ডের ছুড়ে দেওয়া ২০৫ রানের লক্ষ্য হেসেখেলে ছুঁলো পাকিস্তান। চার ওভার হাতে রেখে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ইডেন পার্কে বিজয়ের দেখা পেলো তারা। দুইশ বা তার বেশি রান তাড়া করে সবচেয়ে দ্রুততম জয়ের রেকর্ড এখন পাকিস্তানের। শুক্রবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৯ উইকেটে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ এ ব্যবধান কমিয়ে টিকে থাকলো সফরকারীরা।
এই ম্যাচ জয়ের নায়ক হাসান নওয়াজ। সিরিজের প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টিতে ডাক মারা এই ওপেনার অভিষেক সেঞ্চুরি করেছেন। তার ৪৫ বলে অপরাজিত ১০৫ রানের ইনিংসে ১৬ ওভার শেষে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় পাকিস্তান। ১ উইকেটে ২০৭ রান করে তারা।
ইডেনের পিচে শিশিরের সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগিয়েছে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের বোলারদের নখদন্তহীন বোলিংয়ে শুরু থেকে দাপট দেখায় তারা। মোহাম্মদ হারিস ও নওয়াজ ৫.৫ ওভারে ৭৪ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন। ২০ বলে ৪১ রান করে থামেন হারিস। পাওয়ার প্লেতে পাকিস্তান তাদের রেকর্ড ৭৫ রান তোলে।
ওপেনিং জুটি ভাঙার পর দায়িত্ব নেন নওয়াজ। সঙ্গে ছিলেন সালমান আগা। অধিনায়কও কিউই বোলারদের ওপর চড়াও হন। তাতে করে লক্ষ্য ছোঁয়ার আগে সেঞ্চুরির জন্য পাল্লা দিতে হয়েছে নওয়াজকে। অবশ্য সালমান স্ট্রাইকে তাকে পাঠিয়ে কাজটা সহজ করে দেন। ৪৪ বলে পাকিস্তানের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি করেন নওয়াজ, ২০২১ সালে বাবর আজমের রেকর্ড ভেঙেছেন পাঁচ বলের ব্যবধানে। সালমান ও তার ১৩৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় পায় পাকিস্তান। নওয়াজের ইনিংসে ছিল ১০ চার ও ৭ ছয়। ৩১ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫১ রানে অপরাজিত ছিলেন সালমান।
ম্যাচ শেষে নওয়াজ বলেন, ‘প্রথম দুই ম্যাচে যেভাবে আউট হয়েছি, তাতে খুবই কষ্ট পেয়েছিলাম। কিন্তু অধিনায়ক ও শাদাব খান আমাকে আমার স্বভাবজাত খেলা খেলতে উৎসাহ দিয়েছেন। আমার মনে কেবলই একটা ব্যাপার চলছিল, প্রথমে সিঙ্গেল নিতে হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম রান নেওয়ার পরই আমি নির্ভার হয়ে গেলাম।’
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ড বেশ ভুগেছে। পাকিস্তানের ধারালো বোলিং আক্রমণের বিপরীতে কেবল মার্ক চাপম্যান বড় স্কোর করেন। অল্পের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি। ৪৪ বলে ১১ চার ও ৪ ছয়ে ৯৪ রান করেন চাপম্যান।
শেষ দিকে ১৮ বলে অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল ৩১ রান করে দলীয় স্কোর দুইশর কাছে নেন। এছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন টিম সেইফার্ট (১৯), ড্যারিল মিচেল (১৭) ও ইশ সোধি (১০)।
পাকিস্তানের পক্ষে হারিস রউফ সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। এছাড়া শাহীন আফ্রিদি, আবরার আহমেদ ও আব্বাস আফ্রিদি দুটি করে উইকেট পান।