বর্ষসেরা ক্রিকেটার মনোনয়নে চারজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। যাকে বলা হয় স্যার গারফিল্ড সোবার্স ট্রফি। তালিকায় ইংল্যান্ডেরই জায়গা করে নিয়েছেন দু’জন। তারা হলেন- জো রুট ও হ্যারি ব্রুক। আরও রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড ও ভারতের জসপ্রীত বুমরা।
মূলত বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পারফরম্যান্সের বিচারে এই অ্যাওয়ার্ডস দিয়ে থাকে আইসিসি। টেস্টে হ্যারি ব্রুকের বছরটা গেছে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা পারফর্মার হিসেবে। ১২ টেস্টে রান করেছেন ১ হাজার ১০০। সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ৩১৭। গড় ৫৫। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ জয়ে বড় অবদান ছিল তার। ঘরের বাইরেও ছিল অবদান। তার স্মরণীয় পারফরম্যান্স ছিল মুলতানে। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ট্রিপল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। ৩২২ বলে করেছেন ৩১৭। জো রুটের সঙ্গে মিলে উপহার দেন ৪৫৩ রানের ম্যারাথন জুটি। এই জুটিতে ভর করেই ঘরের বাইরে স্মরণীয় জয় পায় ইংল্যান্ড।
ভারতের পেসার জসপ্রীত বুমরাও কম ছিলেন না। ১৩ টেস্টে নিয়েছেন ৭১ উইকেট। ৮ টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ১৫টি। তার স্মরণীয় পারফরম্যান্স ছিল পার্থে। টেস্টে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শুরু ম্যাচ জয়ে দারুণভাবে নেতৃত্ব দেন তিনি। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ১৫০ রানে গুটিয়ে যায় বুমরার ৫ উইকেট শিকারে। শুধু কি তাই? ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন ৮ উইকেট নিয়ে।
ইংল্যান্ডের জো রুট এই বছর আবার ক্যালেন্ডার ইয়ারে টানা পঞ্চমবারের মতো হাজার রান নিয়ে শেষ করেছেন। এই বছরেই পঞ্চম সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় রাহুল দ্রাবিড়কে স্পর্শ করেছেন। সংখ্যা ৩৬টি। দারুণ ব্যাটিং প্রদর্শনীতে টেস্ট ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে এখনও শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন তিনি। ৬টি টেস্ট সেঞ্চুরিতে ১৭ টেস্টে এই সময় তুলেছেন ১ হাজার ৫৫৬ রান। গড় ৫৫.৫৭। সর্বোচ্চ স্কোর ২৬২। স্মরণীয় পারফরম্যান্স মুলতানে পাকিস্তানের বিপক্ষে দাপুটে ডাবল সেঞ্চুরি। যা তার ক্যারিয়ারে ষষ্ঠ।
২০২৩ সালে ব্যাট হাতে অস্ট্রেলিয়ার ট্রাম্প কার্ড ও বড় ম্যাচ পারফর্মার ট্রাভিস হেড এই বছরও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন। এই বছর শেষ করতে যাচ্ছেন ৯ টেস্টে ৬০৮ রান নিয়ে। গড় ছিল ৪০.৫৩। সর্বোচ্চ স্কোর ১৫২। টি-টোয়েন্টিতেও ১৫ ম্যাচ থেকে তুলেছেন ৫৩৯। স্ট্রাইক রেট ১৭৮.৪৭। এই বছর অজিদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ে তার ছিল মূল ভূমিকা। ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে বছর শেষ করেছেন। তার স্মরণীয় পারফরম্যান্স বোর্ডার গাভাস্কার ট্রফিতে। সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর দ্বিতীয় টেস্টে ভারতের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং প্রদর্শনী করেন তিনি। ১৪১ বলে উপহার দেন ১৪০ রানের দর্শনীয় একটি ইনিংস। গোলাপি বলের এই টেস্টে তার ব্যাটে ভর করেই অস্ট্রেলিয়া সংগ্রহ করে ৩৩৭ রান। তার ইনিংসে ছিল ১৭টি চার ও ৪টি ছক্কার মার। তার আক্রমণাত্মক ইনিংসে ভর করেই পরে সিরিজে সমতা ফেরায় অজি দল।
এছাড়া বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গাতেও পেয়েছেন হ্যারি ব্রুক, জসপ্রীত বুমরা ও জো রুট। সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন শ্রীলঙ্কার কামিন্দু মেন্ডিস।
বর্ষসেরা ওয়ানডে ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন- শ্রীলঙ্কার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, কুশল মেন্ডিস, আফগানিস্তানের আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেরফানে রাদারফোর্ড। বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছেন পাকিস্তানের বাবর আজম, অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড, জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা ও ভারতের আরশদীপ সিং।