আইপিএলের মেগা নিলামে উচ্চ মূল্যে বিক্রি হয়েছেন ভারতের তিন ব্যাটার। রেকর্ড গড়ে ২৭ কোটি রুপিতে ঋষভ পান্তকে কিনছে লখনউ। তার আগে ২৬.৭৫ কোটি রুপিতে শ্রেয়াস আইয়ারকে কিনেছে পাঞ্জাব কিংস। কলকাতাও পিছিয়ে থাকেনি। মোটা অঙ্কে ভেঙ্কটেশ আইয়ারকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। খরচ করেছে ২৩ কোটি ৭৫ লাখ রুপি! ঠিক কী কারণে এত অর্থ ব্যয় করে তাকে নেওয়া হয়েছে সেটি পরে জানিয়েছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের প্রধান নির্বাহী ভেঙ্কি মাইসোর। নিলামের আগেই এক ধরনের আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন ভেঙ্কটেশ।
অবশ্য এটা ভুলে গেলে চলবে না গত আসরে কলকাতার শিরোপা জয় ও ২০২১ সালের ফাইনালে ভেঙ্কটেশের পারফরম্যান্স ছিল প্রভাব বিস্তারি। ঠিক এই ভাবনাই কাজ করেছে কলকাতা শিবিরে। ভেঙ্কি মাইসোর বলেছেন, ‘তারা কিন্তু মাঠেই প্রমাণ করেছে কী করতে পারে। যে বছর আমরা চ্যাম্পিয়ন হয়েছি এবং যে বছর ফাইনালে গেছি ২০২১ সালে,ভেঙ্কটেশ কিন্তু ভীষণ মাত্রায় পারফরম্যান্সে প্রভাব বিস্তার করেছিল। দলেও সে অসাধারণ ছেলে। তাই সে আমাদের আল্টিমেটাম দিয়েছিল, যদি তাকে দলে না নেই, তাহলে ভীষণ মনক্ষুণ্ন হবে। আমরা সেটা চাইনি। তাতে আমারও ভীষণ খুশি।’
শুধু আল্টিমেটামই মাথায় ছিল না। কলকাতা চেয়েছিল গত আসরে শিরোপা জেতা মূল দলটাকেই রেখে দিতে। তারা রিংকু সিং, বরুণ চক্রবর্তী, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন, হর্ষিত রানা ও রমণদীপ সিংকে রিটেইন করে রেখেছে। নিলাম থেকে আবারও নিতে পেরেছে রহমানউল্লাহ গুরবাজ, আইনরিখ নর্কিয়াকে। গত আসরের স্কোয়াড থেকে ১০ জনের মধ্যে ৯জনকে রাখতে পেরেছে। কলকাতার লক্ষ্যই ছিল এমন। ভেঙ্কি বলছিলেন, ‘দিন শেষে যাকে চাচ্ছি, তাকে নিতে পারছি কিনা। অবশ্যই দামের একটা ব্যাপার থাকে। তাই এটা অনেককেই বিস্মিত না করে পারে না। আর সেলারি ক্যাপ যখন ১২০ কোটি রুপি। তখন দামও বাড়তে বাধ্য। তবে আমাদের লক্ষ্য ছিল মূল দলটাকে অক্ষত রাখা। আমরা সেই লক্ষ্যে ৬জনকে ধরে রেখেছি এবং গত বছরের দল থেকে ২-৩জনকে আবার নিতে পেরেছি। ভেঙ্কটেশের বেলাতে আমাদের ভাবনা ছিল যে, এমন পরিস্থিতি চাই না, যেখানে তাকে পাওয়ার সুযোগ থাকবে না।’