বৃষ্টির কারণে জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনা ও বরিশালের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচটি শুরু হয় দেড় দিন পর। প্রায় চার সেশন নষ্ট হওয়া এই ম্যাচটি অনুমিতভাবেই ড্র হয়েছে। ম্যাচের তৃতীয় দিনেই বোঝা যাচ্ছিলো ড্রয়ের দিকেই এগুচ্ছে। নিষ্প্রাণ এই ম্যাচে প্রাপ্তি বলতে বরিশালের আব্দুল মজিদের সেঞ্চুরি। বরিশালের উইকেট নিতে খুলনার অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান তার ৯ বোলারকে ব্যবহার করেছেন। যদিও অনিয়মিত বোলাররা সাফল্য এনে দিতে পারেননি।
রবিবার পৌনে তিনটায় শুরু হওয়া লড়াইয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে খুলনা। নুরুল হাসান সোহানের দল ৯ উইকেটে ৪০৮ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছে। সর্বোচ্চ ৯৫ রান আসে এনামুলের ব্যাট থেকে। এর বাইরে সৌম্য ৬৩, অমিত মজুমদার ৬৭ ও শেখ মেহেদী হাসান খেলেন ৬৩ রানের ইনিংস। উইকেটকিপার ব্যাটার নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকেও আসে ৪৪ রানের ইনিংস।
বরিশালের বোলারদের মধ্যে তানভীর ইসলাম চারটি এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি দুটি উইকেট নেন।
এরপর সোমবার শেষ সেশনে ব্যাটিংয়ে নেমে বিনা উইকেটে বরিশালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৮ রান। মঙ্গলবার ইফতেখার হেসেন (১৮) ও আব্দুল মজিদ (৯) রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন। ইফতেখার ৪৩ রানে আউট হলেও মজিদ নিজের ইনিংসটাকে বড় করেছেন। ১৩৪ রানের ইনিংস খেলে স্বেচ্ছায় অবসরে যান ঘরোয়া ক্রিকেটের পরীক্ষিত এই ব্যাটার। ২৫৫ বলে ১৫ চারে নিজের ইনিংসটি সাজান তিনি। এছাড়া সালমান হোসেন খেলেন ৭৩ রানের ইনিংস। সবমিলিয়ে ৭৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮৭ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে বরিশাল।
খুলনার অধিনায়ক তার একাদশের সবাইকেই বোলিং এনেছেন। অধিনায়ক সোহান এবং এনামুল হক বিজয় বাদে বাকিরা প্রত্যেকেই বোলিং করেছেন। উইকেট পেয়েছেন কেবল ইমরুল কায়েস, শেখ মেহেদী হাসান ও জাওয়াদ রোহান। প্রত্যেকেই নিয়েছেন একটি করে উইকেট।