এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ১০ বছরের জয়খরা কাটিয়েছে প্রথম ম্যাচেই। স্কটল্যান্ডকে হারানোর পর অবশ্য টানা তিন ম্যাচ হেরে বিদায় নিতে হয়েছে গ্রুপ পর্বেই। ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলীয় ব্যর্থতার মাঝেও ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দিয়ে ঝলক দেখান অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। টুর্নামেন্টের পর্দা নামার পরের দিন স্বীকৃতিও পেয়ে গেলেন তিনি।
নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশ দিয়েছে আইসিসি, যেখানে সাতটি দেশের খেলোয়াড় আছেন। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এই তালিকায় আছেন নিগার। উইকেটের পেছনে দায়িত্ব পেয়েছেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩৯ ও অপরাজিত ৩২ রানের দারুণ দুটি ইনিংস খেলেন নিগার। চার ইনিংসে ৩৪.৬৬ গড়ে ১০৪ রান করেছেন। বিশ্বকাপে সেরা অবদান রেখেছেন তিনি কিপিংয়ে। গ্লাভস হাতে ছয় স্টাম্পিং ও একটি ক্যাচ নিয়েছেন তিনি। টুর্নামেন্টে উইকেটকিপার হিসেবে সর্বোচ্চ সাত ডিসমিসাল তার।
চ্যাম্পিয়ন নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার তিন জন করে আছেন একাদশে। ম্যাচসেরা ও টুর্নামেন্টের সেরা অ্যামেলিয়া কার প্রত্যাশিতভাবে আছেন। ২৪ বছর বয়সী ১৫ উইকেট নেন এবং ফাইনালে নিজের সর্বোচ্চ ৪৩ রানসহ মোট করেছেন ১৩৫ রান। তার সতীর্থ রোসমেরি মায়ারও আছেন এই তালিকায়। আরেক নিউজিল্যান্ডার এডেন কার্সন দ্বাদশ খেলোয়াড়।
অধিনায়ক হয়েছেন রানার্সআপ দক্ষিণ আফ্রিকার লরা উলভার্ট। প্রোটিয়াদের প্রতিনিধি হিসেবে আরও আছেন তাজনিম ব্রিটস ও নোনকুলুলেকো ম্লাবা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ক্রিকেটার দিয়েন্দ্রা ডট্টিন ও অ্যাফি ফ্লেচার জায়গা পেয়েছেন। এছাড়া ইংল্যান্ড, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার প্রতিনিধিত্ব করছেন যথাক্রমে ড্যানি উইয়াট হজ, হারমানপ্রীত কৌর ও মেগান শুট।
সেরা একাদশ: লরা উলভার্ট (অধিনায়ক) (দক্ষিণ আফ্রিকা), তাজমিন ব্রিটস (দক্ষিণ আফ্রিকা), ড্যানি উইয়াট-হজ (ইংল্যান্ড), অ্যামেলিয়া কার (নিউজিল্যান্ড), হারমানপ্রীত কৌর (ভারত), দিয়েন্দ্রা ডট্টিন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), নিগার সুলতানা জ্যোতি (উইকেটকিপার) (বাংলাদেশ), অ্যাফি ফ্লেচার (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), রোসমেরি মায়ার (নিউজিল্যান্ড), মেগান শুট (অস্ট্রেলিয়া), ননকুলুলেকো ম্লাবা (দক্ষিণ আফ্রিকা), ১২তম- এডেন কার্সন (নিউজিল্যান্ড)