নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যেন নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০০৯ সালের পর থেকে টানা সাতবার ফাইনাল খেলে ছয়বার চ্যাম্পিয়ন। স্বভাবতই এবারও তাদের শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু বাধ সাধলো দক্ষিণ আফ্রিকা। দারুণ বোলিংয়ের পর শক্তিশালী ব্যাটিংয়ের প্রদর্শন করে রেকর্ড চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনালে হারালো তারা। ৮ উইকেটে জিতে টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে প্রোটিয়ারা।
এই বছরের শুরুতে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার যে কোনও সংস্করণের বিশ্বকাপে অজিদের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়ে গেলো তারা।
দুবাইয়ে দারুণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে ১৩৪ রানে আটকে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারপর আনেকা বোশ ও অধিনায়ক লরা উলভার্টের ৯৬ রানের জুটিতে ১৬ বল হাতে রেখে জেতে তারা। ১৭.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৩৫ রান করে প্রোটিয়ারা। গতবারের ফাইনালে ১৯ রানে হারের শোধ নিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। ভেঙে গেলো অস্ট্রেলিয়ার টানা সাতবার ফাইনাল খেলে চতুর্থ ট্রফি জেতার স্বপ্ন।
মেগ ল্যানিংয়ের অবসরের পর অস্ট্রেলিয়ার প্রথম আইসিসি প্রতিযোগিতা শেষ হলো নকআউট পর্বে। পাকিস্তানের বিপক্ষে পায়ে চোট পাওয়ার কারণে এই ম্যাচেও তারা পায়নি অধিনায়ক অ্যালিসা হিলিকে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। তাহলিয়া ম্যাকগ্রাকে নিয়ে বেথ মুনির ৫০ রানের জুটি প্রতিরোধ গড়েছিল। কিন্তু দলীয় পুঁজি বলার মতো হয়নি। মুনি ৪৪ রান করেন। এলিসা পেরি ৩১ ও তাহলিয়া ২৭ রানের উল্লেখযোগ্য ইনিংস খেলেন।
লক্ষ্যে নেমে ২৫ রানে ওপেনার তাজনিম ব্রিসকে হারালেও উলভার্ট ও আনেকার শক্ত জুটিতে সহজ জয়ের পথ তৈরি করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪২ রানে অধিনায়ক বিদায় নেন। ততক্ষণে জয় হাতছোঁয়া দূরত্বে। ৪৮ বলে ৮ চার ও ১ ছয়ে ব্যক্তিগত সেরা অপরাজিত ৭৪ রান করে দলকে জেতান আনেকা।
ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড অথবা ওয়েস্ট ইন্ডিজ।