নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দীর্ঘদিন ধরেই জয়হীন ছিল বাংলাদেশ। ২০১৪ সালের পর কোনও বিশ্বকাপে জিততে পারেনি তারা। এবার প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে সেই খরা কাটায়। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ হেরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যায় নিগার সুলতানার দল। শনিবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মুখোমুখি হয়েছিল। শেষটাও হার মধ্য দিয়ে হলো। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ১০৭ রানের লক্ষ্য দেয়। জবাবে খেলতে নেমে প্রোটিয়ারা ১৬ বল আগে ৭ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। কিন্তু আবারও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১০৬ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি। সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে তৃতীয় ওভারেই উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে তাজমিন ব্রিটস ও অ্যানেকে বোশ মিলে ৫৩ রানের জুটি গড়েন। তাদের জুটির ওপর দাঁড়িয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় প্রোটিয়ারা। ২৫ বলে ২৫ রান করে অ্যানেকে আউট হন। সঙ্গীকে হারানোর কিছুক্ষণ পর তাজমিনও সাজঘরে ফেরেন। রিতু মনির বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪১ বলে ৪২ রান করেন প্রোটিয়া এই ব্যাটার। এরপর আর উইকেট হারায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। মারিজানে ক্যাপ ১৩ ও ট্রায়ন ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ফাহিমা খাতুন দুটি এবং রিতু মনি একটি উইকেট নিয়েছেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া বাংলাদেশের শুরুটা হয় ভুতূড়ে। প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে ফিরে যান দিলারা আক্তার (০)। মারিজানে ক্যাপের করা বলে প্রোটিয়া উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন এই ওপেনার। এরপর পাওয়ার প্লেতে উইকেট না হারালেও রান নিতে পারেনি বাংলাদেশ। ১ উইকেট হারিয়ে ২১ রান তুলে পাওয়ার প্লে শেষ করে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। দলীয় ৩৬ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। একটি করে চার ও ছক্কার মারে ৩০ বলে ১৯ রান করে আউট হন সাথী রানি।
তৃতীয় উইকেটে নিগার সুলতানা জ্যোতি ও সোবহানার ব্যাটে এগোতে থাকে বাংলাদেশ। নিগার-সোবহানা মিলে ৪৫ রানের জুটি ভাঙেন। ননকুলুলেকো ম্লাবার বলে ৪৩ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন সোবহানা। চতুর্থ উইকেটে জ্যোতি ও স্বর্ণা আক্তার মিলে ১৭ বলে ২৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। এই জুটির ওপর ভর করে বাংলাদেশ তিন উইকেট হারিয়ে ১০৬ রানে থামে। ১২০ বলের ক্রিকেটে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ৬৩ বলেই ডট দিয়েছে। অতিরিক্ত ডট বলের কারণেই বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যথেষ্ট রান উঠছে না। এই সুবিধাই নিয়ে নিচ্ছে প্রতিপক্ষ।