ভারতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি শেষেই এই ফরম্যাটকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। জানিয়েছিলেন, ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজই হবে তার শেষ। ফলে হায়দারবাদে এই ম্যাচ শুরুর আগে সতীর্থদের গার্ড অব অনার পেয়েছেন বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলা এই ব্যাটার। গার্ড অব অনার ছাড়াও নাজমুল হোসেন শান্ত মাহমুদউল্লাহর হাতে একটি ক্রেস্টও তুলে দেন দলের পক্ষ থেকে।
পঞ্চপাণ্ডবের শেষ ক্রিকেটার হিসেবে এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের এই ক্রিকেটকে বিদায়ে সতীর্থদের শুভকামনায় সিক্ত হয়েছেন তিনি।
মুশফিকুর রহিম তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘রিয়াদ ভাই, আপনার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। একজন ভাই ও সতীর্থ হিসেবে, আপনি আপনার ক্যারিয়ারে যা কিছু অর্জন করেছেন তাতে আমি গর্বিত। গর্বিত হয়েই অবসরে যাওয়ার অনেক অর্জন ও উপলক্ষ রয়েছে আপনার। মাশাআল্লাহ। আপনার ভবিষ্যত জীবনের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা জানাচ্ছি।’
মুশফিক আরও লিখেছেন, ‘আপনার অধিনায়কত্বের সময় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আমার অভিষেক হয়। প্রথম ম্যাচের চাপ ছিল ৫০ রান দিয়ে শুরু করি। কিন্তু পরের ম্যাচের আগের দিন রাতে কিছু কথা আমাকে বলেছিলেন, যেটা এখনও আমাকে ভালো পারফরম্যান্স করার জন্য আগ্রহ তৈরি করে। শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।’
অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে লিখেছেন, ‘আমাদের অনেকের এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের অনেক ক্রিকেটারের অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন আপনি। ধন্যবাদ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই।’
যদিও ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটাতে এসে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে পড়লেন তিনি। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া ভারত বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ে ছেলেখেলায় মেতে উঠেছিলো। তাসকিন-মোস্তাফিজ-তানজিম সাকিবদের তুলোধুনো করে ২৯৭ রান তুলে নিয়েছে ভারত। যা টি-টোয়েন্টি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ রান নেপালের। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ৩১৪ রান করেছিল তারা। ভারত সর্বোচ্চ সংগ্রহ করার পথেই ছিল। কিন্তু শেষ দুই ওভারে খুব বেশি সুবিধা করতে না পারায় সেটি পারেনি। তবে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ সংগ্রহ (২৯৭)। কঠিন এই লক্ষ্যের পেছনে কীভাবে চোটে এটাই এখন দেখার!