পাকিস্তান সফরে দারুণ পারফরম্যান্সের পর ভারত সফরের আগে দল নিয়ে অনেক প্রত্যাশার কথা বলেছিলেন, অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। কিন্তু মাঠে সেই প্রতিফলন দেখা যায়নি। টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও বাংলাদেশ হার দিয়ে শুরু করেছে। বুধবার সিরিজ হার এড়ানোর মিশন নিয়ে তারা মাঠে নামবে। দিল্লির অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে ম্যাচ শুরু বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায়। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।
গোয়ালিয়রে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ। ব্যাটিং সহায়ক উইকেটেও নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি। ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানে অলআউট হয় তারা। এরপর ভারতের ব্যাটারদের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে বোলাররাও। বাংলাদেশের ছুঁড়ে দেওয়া ১২৮ রানের টার্গেট ৪৯ বল বাকি রেখেই স্বাগতিক দল নিশ্চিত করে ৭ উইকেটের জয়। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে যেভাবে ভারতের কাছে ধরাশয়ী হয়েছে, তাতে করে দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো বেশ কঠিন হয়েই যাবে বাংলাদেশের।
তবে দিল্লির পরিসংখ্যান উজ্জীবিত করে তুলতে পারে শান্তদের। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দল একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি জিতেছে। সেই জয়টি এসেছিল দিল্লিতেই। ২০১৯ সালে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচটিতে বিজয় নিশান উড়িয়েছিলো লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ৫ বছর পর আবার দিল্লিতে ম্যাচ খেলতে নামছে। যদিও ব্যাটিং ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠতে না পারলে ম্যাচ জেতাতো দূরে থাক লড়াই করাও সম্ভব হবে না।
গোয়ালিয়রে প্রথম ম্যাচ হারের পর বাস্তবতা স্বীকার করে নিয়েছিলেন অধিনায়ক শান্ত। তার মতে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের বিকল্প নেই, ‘আমরা ভালো দল। আরও ভালো করার সামর্থ্য আছে। ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে, সুযোগ এখনও শেষ হয়নি। পরের ম্যাচগুলোতে পরিকল্পনামাফিক খেলতে হবে। ব্যাটারদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’
দিল্লিতে এই ম্যাচের মধ্যে দিয়ে মাহমুদউল্লাহর শেষের শুরু হচ্ছে। মঙ্গলবার এই ফিনিশার অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন তিনি। সেই হিসেবে আজকের ম্যাচটিকে শেষের শুরু বলাই যায়। এই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর দিকে চোখ থাকবে বাংলাদেশি সমর্থকদের। এমন ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ সেরাটা দিতে পারলে চলতি বছরের হতাশা দূর হবে। এক জিম্বাবুয়ে বিপক্ষে সিরিজ জয় ছাড়া চলতি বছর এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের কোনও সাফল্য নেই। এখন দেখার অপেক্ষা দিল্লির সুখস্মৃতি আর মাহমুদউল্লাহ শেষের শুরুতে এসে বাংলাদেশ সাফল্য পায় কিনা!