ব্যর্থতার বৃত্তেই ঘুরপাক খাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগে (এমএলসি) তিনি এখনও ফর্মে ফিরতে পারলেন না। রবিবার রাতে ব্যাট ও বল হাতে ফের ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তার ব্যর্থতার দিনে লস অ্যাঞ্জেলস নাইট রাইডার্সও জিততে পারেনি। টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাচ জয়ের পর আর জিততে পারেনি তারা। রবিবার ওয়াশিংটন ফ্রিডমের বিপক্ষে ৮ উইকেটে হেরেছে লস অ্যাঞ্জেলস।
চার্চ স্ট্রিট পার্কে আগে ব্যাটিং করে লস অ্যাঞ্জেলস কোনোরকমে ১২৯ রান সংগ্রহ করে। জবাবে খেলতে নেমে ওয়াশিংটনের দুই ওভারে ট্র্যাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথের ৭৯ রানের জুটিতে জয়ের কাছকাছি পৌঁছে যায়। ৩২ বলে ৫৪ রান করে হেড আউট হলে জুটি ভাঙে তাদের। ২ চার ও ৬ ছক্কায় নিজের ইনিংসটা সাজান অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাটার। এরপর রাচিন রবীন্দ্র ১১ রান করে আউট হলেও ম্যাচ জিততে সমস্যা হয়নি ওয়াশিংটনের নৈপুণ্যে। স্টিভেন স্মিথ (৪২) ও আন্দ্রিস গাউস (১৫) অপরাজিত থাকেন।
লস অ্যাঞ্জেলসের বোলারদের মধ্যে স্পেন্সার জনসন ও শ্যাডলি ভেন শাল্কউইক প্রত্যেকে একটি করে উইকেট নেন। বল হাতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছেন সাকিব। টানা তিন ম্যাচে উইকেটশূন্য ছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। এমনটি একটি ম্যাচেও নিজের বোলিং কোটা পূরণ করতে পারেননি তিনি। আজ ৩ ওভার বোলিং করে ২৯ রান খরচায় উইকেটশূন্য ছিলেন। এমএলসিতে ১০ ওভার বা তার বেশি বল করা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে খরুচে সাকিব। ৪ ম্যাচে তিনি ১০ ওভার বোলিং করে ১১.১০ ইকোনোমিতে রান দিয়েছেন ১১১।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় লস অ্যাঞ্জেলস। কিন্তু ওয়াশিংটনের সৌরভ নেত্রাভালকার ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বোলিং তোপে খেই হারিয়ে ফেলে দলটি। পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্যাটিংয়ের মেরুদন্ডটাই ভেঙে যায়। টপ অর্ডার চার ব্যাটার জেসন রয় (১২), সুনীল নারিন (০), উন্মুক্ত চাঁদ (১) ও সাকিব আল হাসান (০) রানে আউট হন। আগের ম্যাচগুলোর ধারাবাহিকতায় আজও ব্যর্থ হয়েছেন সাকিব। প্রথম দুই ম্যাচে দুই অঙ্কের ঘরে (১৮, ৩৫) রান করলেও শেষ দুই ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটার।
১৮ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন সাইফ বদর। এক প্রান্ত আগলে রেখে দলের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। দলীয় ৬২ রানে সাইফ আউট হওয়ার পর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে সাকিব আল হাসানরা। শেষমেশ আন্দ্রে রাসেলের ২০, শ্যাডলির ১২, জনসনের ১৬ ও আলী খানের ১১ রানের সুবাদে লস অ্যাঞ্জেলস কোনোরকমে ১২৯ রান সংগ্রহ করে।
ওয়াশিংটনের বোলারদের মধ্যে নেত্রাভালকার সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া ম্যাক্সওয়েল তিনটি এবং লকি ফার্গুসন নেন দুটি উইকেট।