টস হেরে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তখনই বলেছিলেন, অ্যান্টিগার উইকেটে ১৫০-১৬০ রান আদর্শ। ভারতকে এই রানেই আটকাতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতীয় শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপকে চূর্ণ করে তুলে নেয় ১৯৬ রান। কঠিন এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে স্বাভাবিকভাবেই খেই হারিয়ে ফেলে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক শান্ত জানালেন, তাদের টার্গেটটা ১৭০ মধ্যে হলে জেতার মতো হতো।
১৯৭ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে ব্যাটারদের ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ তুলতে পারে ১৪৬ রান। ৫০ রানে ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে প্রায় বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে বাংলাদেশের। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, ‘আমি মনে করি, আমরা ভেবেছিলাম ১৬০-১৭০ রানের মতো হবে। যদি হতো তাহলে আমাদের জন্য ভালো হতো। কিন্তু তারা যেভাবে ব্যাটিং করেছে, তাদেরকে ক্রেডিট দিতে হবে। তারা এসব আবহাওয়া ও বাতাসের সঙ্গে অভ্যস্ত। আমি মনে করি না এটা কোনও ইস্যু।’
দল নির্বাচনে বাংলাদেশ চমক দেখিয়েছে। পাঁচ বোলার নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। সঙ্গে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তাসকিনকে বসিয়ে নেওয়া হয় একজন ব্যাটার। টিম ম্যানেজমেন্টের এই পরিকল্পনায় বিস্মিত হয়েছে অনেকেই। মূলত ব্যাটিং লাইনআপ বড় করতে গিয়েই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া। এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেছেন, ‘ব্যাটিংয়ে আজ আমাদের অনেক অপশন ছিল। কিন্তু যে ইনটেন্ট আমাদের দেখানোর দরকার ছিল সেটা আমরা পারিনি। আমি প্রতি ম্যাচে দলের হয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করি। কিন্তু আমার চেষ্টা করা উচিত ছিল ম্যাচটা শেষ করে আসা।’
টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের প্রাপ্তি পেসার তানজিম সাকিব ও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন‑ তা আরেকবার মনে করিয়ে দিয়েছেন শান্ত, ‘তানজিম সাকিব এই টুর্নামেন্টে আমাদের হয়ে অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। আমি রিশাদের কথাও বলবো। আমরা লম্বা সময় ধরে লেগ স্পিনার খুঁজছিলাম। তাকে পেয়ে আমরা খুশি।’