তৃতীয় ওয়ানডেতে সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউজিল্যান্ড: ৩৪.৫ ওভারে ১৭৫/৩, লক্ষ্য ১৭২ ( নিকোলস ৫০*, টম ব্লান্ডেল ২৩*; ফিন অ্যালেন ২৮, ফক্সক্রফট ০, উইল ইয়াং ৭০)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা উইল ইয়াং, সিরিজ সেরা হেনরি নিকোলস।
বাংলাদেশ: ৩৪.৩ ওভারে ১৭১/১০ (নাজমুল শান্ত ৭৬, মাহমুদউল্লাহ ২১, তাওহীদ ১৮, মুশফিক ১৮)
এশিয়া কাপ থেকেই ব্যাটারদের পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। সেই বাজে ব্যাটিং তারা টেনে আনলো বিশ্বকাপের আগে গুরুত্বহীন নিউজিল্যান্ড সিরিজেও। তাতে কিউইদের কাছে তিন ম্যাচের সিরিজ খোঁয়াতে হলো ২-০ ব্যবধানে। প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে গেছে।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পরাজয়ের পর সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে বাংলাদেশ তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে খেলতে নেমেছিল। কিন্তু শেষ ম্যাচেও কিউইদের কাছে ৭ উইকেটে হেরেছে স্বাগতিক দল। তাতে ১৫ বছর পর বাংলাদেশের মাটিতে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে কিউইরা।
মিরপুরে শুরুতে বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাট করতে নামলেও ৩৪.৩ ওভারে ১৭১ রানে গুটিয়ে গেছে। ব্যাটিংয়ের মূল হাইলাইটস ছিল শুধু ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর একার লড়াই। ৮৪ বলে ৭৬ রান করেছেন তিনি। তাছাড়া বাকিরা সেভাবে অবদান রাখতে পারেননি।
জবাবে সাধারণ এই লক্ষ্যে খেলতে নামা কিউইদের মনে হয়নি তারা এই রান তাড়া করতে ব্যর্থ হবে। সিরিজে বাংলাদেশের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকা সফরকারীরা ৩৪.৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়েই ম্যাচ জিতে নিয়েছে।
৪৯ রানে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে কিউইদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে অবদান রাখেন ওপেনার উইল ইয়াং। সর্বোচ্চ ৭০ রান করে আউট হন তিনি। তার বিদায়ের পর বাকি কাজ সম্পাদন করেছেন হেনরি নিকোলস। অপরাজিত হাফসেঞ্চুরিতে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। তার ৮৬ বলের ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ১টি ছয়।
৩২ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম। ৫০ রানে একটি নিয়েছেন নাসুম আহমেদ।
ইয়াংয়ের প্রতিরোধ ভাঙলেন নাসুম
৪৯ রানে দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে কিউইদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে অবদান রাখেন ওপেনার উইল ইয়াং। হেনরি নিকোলসকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়েন ৮১ রানের! এই জুটিকে বেশি বড় হতে দেননি নাসুম। ইয়াংকে অসাধারণ এক ডেলিভারিতে ৭০ রানে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠিয়েছেন তিনি। কিউই ওপেনারের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও একটি ছয়।
নিকোলস-ইয়াং জুটিতে এগিয়ে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড
ফিন অ্যালেনের দারুণ ব্যাটিং শুরুর মঞ্চ গড়ে দেয় নিউজিল্যান্ডের। অ্যালেন-ইয়াংয়ের ওপেনিং জুটি ৪৯ রান যোগ করেছে। দশম ওভারে এসে এই জুটি ভেঙে পর পর জোড়া আঘাতে কিউইদের চেপে ধরার চেষ্টা করেছিলেন শরিফুল। তাতে লাভ হয়নি যদিও। প্রান্ত আগলে ধাক্কা সামাল দিয়েছেন উইল ইয়াং। তুলে নিয়েছেন পঞ্চম ফিফটি। হেনরি নিকোলসকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েছেন তিনি। তাতে শুরুর ধাক্কার পর ম্যাচের কর্তৃত্বও প্রতিষ্ঠিত করেছে কিউইদের পঞ্চাশ ছাড়ানো এই জুটি।
রিভিউ নষ্ট বাংলাদেশের
১৯.৩ ওভারে খালেদের বলে নিকোলসের বিপক্ষে লেগ বিফোরের আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি যদিও। শান্ত রিভিউ নিলেও দেখা গেছে বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছে। তাতে নষ্ট হয়েছে রিভিউ। অবশ্য তার আগের বলে নিকোলস রিভিউ নিয়ে বেঁচেছেন। খালেদের শর্ট বলে পুল করতে গিয়েছিলেন তিনি। বল হাতে লেগে জমা পড়ে কিপারের গ্লাভসে। তাতে বাংলাদেশের আবেদনে আঙুল তুলে দেয়েছিলেন আম্পায়ার। নিকোলস রিভিউ নিলে দেখা যায় বল ব্যাটে বা গ্লাভসের কোথাও লাগেনি।
শরিফুলের জোড়া আঘাতে চাপে নিউজিল্যান্ড
১৭২ রানের সাধারণ লক্ষ্যে দারুণ জবাব দিতে থাকে নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ও উইল ইয়াং মিলে ৯.১ ওভারেই ৪৯ রান যোগ করেছেন। ৯.২ ওভারে ৪৯ রানের জুটি ভেঙেছেন শরিফুল। তার বলে পুল করতে গিয়ে ২৮ রানে নাসুমের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন অ্যালেন। ৯ ওভার পর্যন্ত নির্ভার থাকা কিউইরা মুহূর্তেই চাপে পড়ে যায় একই ওভারের পরের বলে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে। অভিষিক্ত ফক্সক্রফটকে প্রথম বলেই বোল্ড করে শরিফুল হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা তৈরি করেন। শেষ পর্যন্ত হয়নি যদিও।
১৭১ রানে অলআউট বাংলাদেশ
৩৫ রানে প্রথম তিন ব্যাটারকে হারিয়েও বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে ছিটকে যায়নি। নাজমুল হোসেন শান্ত হাল ধরেন। অধিনায়কের ঝলমলে ইনিংস এবং তার সঙ্গে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর জুটিতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল স্বাগতিকরা। শান্তর সঙ্গে মুশফিক ৫৩ ও মাহমুদউল্লাহ ৪৯ রানের জুটি গড়েন। এই দুটি জুটি ভাঙার পর বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। পাঁচ উইকেটে তাদের স্কোর ছিল ১৫৬ রান, শেখ মেহেদী হাসানের আউটে শুরু হয় শেষ ধস। শান্ত ইনিংস সেরা ৭৬ রানে ফিরে যান দলীয় ১৬৮ রানে। মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে শেষ চার উইকেট হারায় তারা। ৩৫তম ওভারে তাদের ১৭১ রানে অলআউট করে নিউজিল্যান্ড।
৬.৩ ওভারে ৩৪ রান খরচায় চার উইকেট নিয়ে সেরা বোলার অ্যাডাম মিলনে। দুটি করে উইকেট নেন কোল ম্যাককনচি ও ট্রেন্ট বোল্ট।
শান্তকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাটে আশার আলো জ্বলছিল। টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটারদের ব্যর্থতা তিনি ভুলিয়ে দেন ঝলমলে ইনিংসে। অধিনায়ক হিসেবে সেঞ্চুরির স্বপ্নও দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু পারলেন না। ৩২তম ওভারে তাকে থামান কোল ম্যাককনচি। এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে আঙুল তুলে দেন। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি শান্ত। ৮৪ বলে ১০ চারে ৭৬ রান করেন তিনি। ১৬৮ রানে সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ফিরে যান শান্ত।
পরের ওভারের প্রথম বলে নতুন ব্যাটার হাসান মাহমুদ বিদায় নেন। ২ বলে ১ রান করে তিনি রাচিন রবীন্দ্রর কাছে এলবিডব্লিউ হন। রিভিউ তিনিও নেন, তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। ১৬৯ রানে নেই বাংলাদেশের ৮ উইকেট। টানা তিন ওভারে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩৪তম ওভারে নাসুম আহমেদ ৭ রানে স্টাম্পিং হন।
শান্তকে রেখে এবার ফিরলেন মেহেদী
নাজমুল হোসেন শান্ত দ্বিতীয় ওভারে ব্যাটিংয়ে নামেন। জাকির হাসান বিদায় নেওয়ার পর ক্রিজে এসে অপ্রতিরোধ্য ইনিংস খেলছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। মুশফিকুর রহিম তার সঙ্গে ৫৩ ও মাহমুদউল্লাহ ৪৯ রানের জুটি গড়েন। এছাড়া আর কেউই উপযুক্ত সঙ্গ তাকে দিতে পারেননি। সবশেষ মেহেদী হাসান বিদায় নিলেন টম ব্লান্ডেলের ক্যাচ হয়ে। ২৮তম ওভারের পঞ্চম বলে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার তিনি। ১৪ বলে ১৩ রান করেন মেহেদী। ১৫৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
২৫ বছর আগের রেকর্ড ভাঙলেন শান্ত
অধিনায়ক লিটন দাস বিশ্রামে। তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশের জার্সিতে সুযোগ মিললো নাজমুল হোসেন শান্তর, তাও আবার অধিনায়কত্ব পেয়ে গেলেন।
এমন দিন স্মরণীয় করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। ৫৫ বলে ৭ চারে ফিফটি করেন। তারপর টপকে গেছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুলের গড়া ২৫ বছর আগের কীর্তি।
বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ম্যাচে সর্বোচ্চ রান করলেন শান্ত। এর আগে ১৯৯৮ সালে মোহালিতে ভারতের বিপক্ষে বুলবুলের করা ৭০ রান ছিল সর্বোচ্চ। ইনিংসের ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে অ্যাডাম মিলনেকে চার মেরে সেই রান অতিক্রম করেন শান্ত।
মাহমুদউল্লাহ আউট
জ্বলে উঠতেই নিভে গেলেন মাহমুদউল্লাহ। নামের পাশে ছিল ২১ বলে ১২ রান। স্ট্রাইক রেটের কারণে সমালোচিত এই ব্যাটার জ্বলে উঠলে আর একটি বল খেলে। ইশ সোধিকে টানা দুটি চার মারলেন। আর তিনটি বল খেলে বিদায় নিলেন।
নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়ে আউট মাহমুদউল্লাহ। ২৭ বলে ২ চারে ২১ রান করে অ্যাডাম মিলনের বলে টম ব্লান্ডেলের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। ১৩৭ রানে ৫ উইকেট গেলো বাংলাদেশের।
শান্তর হাফ সেঞ্চুরি
৬ ওভারের মধ্যে তিন উইকেট পড়ে গেলেও নির্ভীক ব্যাটিং করে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ফলও পেয়েছেন হাতেনাতে। ৫৫ বলে ৭ চারে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে নিযুক্ত বাংলাদেশের অধিনায়ক। ২০তম ওভারের পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি উদযাপন করেন তিনি। এনিয়ে টানা তিন ওয়ানডেতে পঞ্চাশ ছুঁলেন শান্ত। গত এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১০৪ ও তার আগের ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮৯ রান করেন।
১৮ রানে আউট মুশফিক
পানি পানের বিরতি থেকে ফিরে এসে প্রথম বলের মুখোমুখি হয়েই বিদায় নিলেন মুশফিকুর রহিম। লকি ফার্গুসনের বলে বোল্ড হন তিনি। তার ব্যাটে লেগে বল নিচু হয়ে মাটিতে লাফিয়ে স্টাম্পের দিকে ছুটতে দেখে পা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু পারেননি। আগেই স্টাম্পে আঘাত করে বল। ২৫ বলে ১৮ রান করেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। ৮৮ রানে চার উইকেট গেলো বাংলাদেশের। নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫৩ রানের।
শান্ত-মুশফিকের জুটিতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ
৩৫ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে বিপদ থেকে উদ্ধার করছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। তাদের জুটি পঞ্চাশ ছাড়িয়ে গেছে। পানি পানের বিরতির আগে ১৫ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ৮৮ রান তাদের।
পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেটে বাংলাদেশের ৬২ রান
৬ ওভারের মধ্যে ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশের হাল ধরেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। স্বাগতিক অধিনায়ক মারমুখী ব্যাটিংয়ে পাওয়ার প্লেতে স্বস্তি ফিরিয়েছেন। ১০ ওভারে ৩ উইকেটে ৬২ রান বাংলাদেশের।
হৃদয়কে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
তানজিদ হাসান তামিম আউট হওয়ার পর ক্রিজে নামেন তাওহীদ হৃদয়। প্রথম বলেই বাউন্ডারি মারেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেন তিনি। কিন্তু তিন নম্বর চার মারার পরের বলে আউট হলেন। বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে দলীয় ৩৫ রানে বিদায় নিলেন এই ব্যাটার। অ্যাডাম মিলনের বলে পয়েন্টে উইল ইয়াংয়ের সহজ ক্যাচ হন হৃদয়। ১৭ বলে ৩ চারে করেন ১৮ রান।
জাকিরের পর তানজিদের বিদায়
২০০৯ সালে মোহাম্মদ আশরাফুলের পর প্রথমবার বাংলাদেশের কোনও অধিনায়ক হিসেবে তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার সঙ্গে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে ট্রেন্ট বোল্টের শিকার তিনি। স্লিপে ফিন অ্যালেনকে ক্যাচ দেন মাত্র ৫ রান করে। ৮ রানে ২ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
অভিষেকে হতাশ করলেন জাকির
অভিষেকে তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে জাকির হাসান ওপেনিংয়ে নামলেন। কিন্তু আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি এই ব্যাটার। ইনিংসের ষষ্ঠ বলে রানের খাতা খোলেন সিঙ্গেল নিয়ে। আর চার বল খেলে বিদায় নেন জাকির। ৫ বলে মাত্র ১ রান করে বোল্ড হন অ্যাডাম মিলনের কাছে। দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, বৃষ্টি থামার অপেক্ষা
টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে নেতৃত্বে অভিষেক হলো নাজমুল হোসেন শান্তর।
বাংলাদেশের একাদশে চারটি পরিবর্তন। অভিষেক হচ্ছে জাকির হাসানের। এছাড়া দলে ঢুকেছেন শান্ত, মুশফিকুর রহিম ও খালেদ আহমেদ। লিটন দাস, তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মোস্তাফিজুর রহমান বাদ। নিউ জিল্যান্ড দলে অ্যাডাম মিলনে ও ডিন ফক্সক্রফট খেলবেন কাইল জেমিসন ও চ্যাড বাওয়েসের বদলে।
বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময় ২টায় খেলা শুরু হয়নি, ২০ মিনিট দেরিতে মাঠে নামে দুই দল।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান তামিম, তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, জাকির হাসান, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।
নিউ জিল্যান্ড একাদশ: ফিন অ্যালেন, উইল ইয়াং, ডিন ফক্সক্রফট, হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেল, রাচিন রবীন্দ্র, কোল ম্যাককনচি, অ্যাডাম মিলনে, ইশ সোধি, লকি ফার্গুসন (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট।