দ্বিতীয় ওয়ানডের সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৪১.১ ওভারে ১৬৮/১০ (মোস্তাফিজ ২*, খালেদ ১, নাসুম ২১, হাসান ০, মাহমুদউল্লাহ ৪৯, মেহেদী ১৯, তামিম ৪৪, হৃদয় ৪, সৌম্য ০, তানজিদ তামিম ১৬, লিটন ৬)
নিউ জিল্যান্ড ৪৯.২ ওভারে ২৫৪/১০ (ট্রেন্ট বোল্ট ১*, ইশ সোধি ৩৫, লকি ফার্গুসন ১৩, কাইল জেমিসন ২২, উইল ইয়াং ০, ফিন অ্যালেন ১২, চ্যাড বাওয়েস ১৪, নিকোলস ৪৯, রাচিন রবীন্দ্র ১০, টম ব্লান্ডেল ৬৮, কোল ম্যাককনচি ২০)
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৮৬ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ইশ সোধি ৩৫ ও ৩৯/৬ (নিউ জিল্যান্ড)
সিরিজ: নিউ জিল্যান্ড ১-০ তে এগিয়ে।
ইশ সোধিকে ১৭ রানে নন স্ট্রাইকে আউট আউট করেও লিটন দাস তাকে ফের মাঠে ডাকেন। সেই সোধিই শেষদিকে দুটি ছয় মেরে রান আড়াইশ পার করেন। এরপর বল হাতে জাদু দেখান তিনি। তাতে ছন্নছাড়া বাংলাদেশ। ৮৬ রানে জিতলো নিউ জিল্যান্ড।
আগে ব্যাটিংয়ে নামা নিউ জিল্যান্ড শুরুতে সুবিধা করতে পারেনি। ১৮৭ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে তাদের বিপদে ফেলে বাংলাদেশ। ম্যাচ স্বাগতিকদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু লোয়ার অর্ডারে সোধি ও কাইল জেমিসন হাল ধরেন। তাদের জুটিতে স্কোর দুইশ পার হয়।
দুজনের ৩২ রানের জুটি ছিল কার্যকর। বাংলাদেশ আরেকটি ব্রেকথ্রু এনেছিল সোধিকে ফিরিয়ে। নন স্ট্রাইক থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় বোলার হাসান মাহমুদ বল ছোড়ার আগে স্টাম্প ভেঙে দেন। তখন ১৭ রান ছিল সোধির নামের পাশে। কিন্তু ক্রিকেটীয় চেতনা থেকে নিউ জিল্যান্ড ব্যাটারকে ফেরান হাসান ও লিটন দাস।
ফিরে আরও দুটি ছক্কা মেরে সোধি রান আড়াইশ পার করেন। তার শেষ দিকের ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ২৫৪ রান করে অলআউট হয় নিউ জিল্যান্ড।
বাংলাদেশ দ্রুত লিটনকে হারিয়ে ফেলে। জেমিসন স্বাগতিক অধিনায়ককে প্যাভিলিয়নে পাঠান। তারপর সোধির ঘূর্ণি জাদু। এক ওভারে জোড়া আঘাত হানার পর আরও চারটি উইকেট তুলে নেন। বাংলাদেশের পক্ষে তামিম ইকবাল ৪৪ ও মাহমুদউল্লাহর ৪৯ রানের ইনিংস ছাড়া আর কারও ব্যাট হাসেনি। ৪১.১ ওভারে ১৬৮ রানে অলআউট নিউ জিল্যান্ড।
ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন সোধি। ১০ ওভারে ৩৯ রান খরচায় নেন ৬ উইকেট।
২০০৮ সালের পর বাংলাদেশের মাটিতে এটাই প্রথম ওয়ানডে জয় নিউ জিল্যান্ডের। আগামী মঙ্গলবার বাংলাদেশের জন্য সিরিজ বাঁচানোর লড়াই।
সোধির ষষ্ঠ শিকার হাসান
ইশ সোধি একাই বাংলাদেশকে বিপর্যয়ে রাখলেন। নবম ওভারে তিনি নিজের ষষ্ঠ উইকেট তুলে দেন। হাসান মাহমুদকে বোল্ড করেন শূন্য রানে। ১৫৩ রানে আট উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
মাহমুদউল্লাহর ১ রানের আক্ষেপ
জাতীয় দলে ফিরে সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে এগোচ্ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। হাফ সেঞ্চুরি উদযাপন করার পথে ছিলেন। কিন্তু পারলেন না। এক রানের আক্ষেপে পুড়লেন মাহমুদউল্লাহ। কোল ম্যাককনচির বলে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে ফিন অ্যালেনের সহজ ক্যাচ হন তিনি। ৭৬ বলে চার চার ও এক ছয়ে ৪৯ রান করেন অভিজ্ঞ ব্যাটার।
মেহেদীকে বোল্ড করে সোধির পাঁচ
ইশ সোধি তার ঘূর্ণি জাদু দেখিয়ে পঞ্চম উইকেট তুলে নিলেন। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মেহেদী হাসানের প্রতিরোধ গড়া জুটি ভেঙে দিলেন সপ্তম ওভারে। ৩০তম ওভারের প্রথম বলে মেহেদী হাসানের মিডল স্টাম্প ভেঙে দেন নিউ জিল্যান্ড স্পিনার, ভাঙে ৪২ রানের জুটি। এই প্রথমবার ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট নিলেন সোধি।
মাহমুদউল্লাহ-মেহেদীর সতর্ক ব্যাটিং
হাতে উইকেট আর ৫টি। তাড়াহুড়ো করছেন না মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান। দুজনের জুটিতে ধীরে ধীরে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। তাদের জুটি ত্রিশ ছুঁইছুঁই।
রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন মেহেদী
২১তম ওভারে বল হাতে নিয়েই উইকেট শিকারের উদযাপনে মাতেন রাচিন রবীন্দ্র। এলবিডব্লিউর আবেদনে তার পক্ষে সাড়া দেন আম্পায়ার। স্ট্রাইকে ছিলেন মেহেদী হাসান। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আলাপ করে রিভিউয়ের আপিল করেন। রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত বদলে যায় বল স্টাম্প মিস করায়।
হাফ সেঞ্চুরি হলো না তামিমের
জাতীয় দলে ফিরে দারুণ সব শটে হাফ সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু হলো না ৬ রানের জন্য। সুইপ শট খেলতে গিয়ে ইশ সোধির ঘূর্ণিতে বল তার গ্লাভস ছুঁয়ে উইকেটকিপার টম ব্লান্ডেলের হাতে ধরা পড়ে। আম্পায়ার মারাইস এরাসমুস আউট না দিলে নিউ জিল্যান্ড রিভিউ নেয়। তবে তামিম থার্ড আম্পায়ারকে খাটাননি। আগেই প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা শুরু করেন। তার ৫৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংসে ছিল ৭ চার। ৯২ রানে ৫ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
হৃদয়ও ব্যর্থ, চাপে বাংলাদেশ
ইশ সোধি টপ অর্ডারে ধস নামালেন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে তানজিদ হাসান তামিম ও সৌম্য সরকারকে ফেরান তিনি। নিউ জিল্যান্ডের স্পিনার তার চতুর্থ ওভারে পেলেন আরেকটি উইকেট। তাওহীদ হৃদয়কে বোল্ড করেন মাত্র ৪ রানে। ৭০ রানে ৪ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।
এক ওভারে তানজিদ-সৌম্যকে হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
১১তম ওভারে বাংলাদেশ হারালো দ্বিতীয় উইকেট। ইশ সোধির বলে তানজিদ হাসান তামিম ক্যাচ দেন লকি ফার্গুসনকে। চার মেরে রানের খাতা খোলা এই ব্যাটার ১২ বলে ৩ চারে ১৬ রান করেন। দুই বল পর সৌম্য সরকারকে শূন্য রানে ফিরতি ক্যাচে ফেরান নিউ জিল্যান্ড স্পিনার। নিয়মিত খেলোয়াড়দের বিশ্রামে সুযোগ পেয়েছিলেন এই সিরিজে। আগের ম্যাচে বৃষ্টির কারণে ব্যাটিং করতে পারেননি। দ্বিতীয় ম্যাচে নেমে মাত্র ২ বল খেলতে পারলেন। সোজা ব্যাটে ডিফেন্স করতে গিয়ে সোধিকে ফিরতি ক্যাচ দেন সৌম্য।
লিটন বিদায় নিতেই আগ্রাসী তামিম
ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে লিটন দাস বিদায় নেন। মাত্র ১৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ৬ রানে তার বিদায়ের পর থেকে আগ্রাসী আরেক ওপেনার তামিম ইকবাল।
সপ্তম ওভারে ট্রেন্ট বোল্টকে চার মারেন তামিম। তানজিদ হাসান তামিমও মারেন বাউন্ডারি। অষ্টম ওভারে তিন চারে ১৪ রান তুলে নেন তামিম। ৮ ওভারে ১ উইকেটে ৪২ রান বাংলাদেশের।
লিটন প্যাভিলিয়নে
মাত্র ৬ রান করলেন লিটন দাস। খেললেন ১৫ বল। বাংলাদেশের অধিনায়ক হতাশ করলেন। তামিম ইকবালের সঙ্গে ১৯ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ে কাইল জেমিসনের শিকার তিনি। নিউ জিল্যান্ড পেসারের শর্ট বলে আপার কাট করতে গিয়ে থার্ড ম্যানে রাচিন রবীন্দ্রর ক্যাচ হন লিটন।
তামিম-লিটনের সতর্ক শুরু
তামিম ইকবাল ও লিটন দাস ওপেনিং জুটিতে সাবধানী শুরু করেছেন। প্রথম দুই ওভারে একটি করে দুটি রান নেন তারা। তৃতীয় ওভারে আসে ২ রান। তিন ওভার শেষে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৪ রান বাংলাদেশের।
প্রথম ওভারেই অবশ্য লিটন রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান। ট্রেন্ট বোল্টের ইনসুইঙ্গারে এলবিডব্লিউর আবেদন করে নিউ জিল্যান্ড। মারাইস এরাসমুস আঙুল তুলে দেন। তবে রিভিউয়ে সিদ্ধান্ত বদলে যায়।
বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৫৫ রান
লিটন দাস ও হাসান মাহমুদ দয়া দেখিয়ে ইশ সোধিকে ফিরিয়ে কি ভুলই করলেন! শেষ দিকে দুটি ছক্কা মেরে নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটার যে স্কোর আড়াইশ পার করলেন। তবে ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি সোধি। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে অভিষিক্ত খালেদ আহমেদের শিকার তিনি। ৩৯ বলে ৩ ছক্কায় ৩৫ রান করেন কিউই ব্যাটার। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নেন লিটন। তাতে ২৫৪ রানে অলআউট নিউ জিল্যান্ড। বাংলাদেশের দরকার ২৫৫ রান।
অভিষেকে খালেদ তিন উইকেট নেন। সমান উইকেট পান মেহেদী হাসান। মোস্তাফিজুর রহমান ১০ ওভারে ৫৩ রান দিয়ে পকেটে পুরেছেন দুটি উইকেট।
মেহেদীর তৃতীয় শিকার ফার্গুসন
উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে এলেন লকি ফার্গুসন। বল তার ব্যাটে লাগেনি। লিটন দাস ক্ষিপ্রতার সঙ্গে বল হাতে নিয়েই ভেঙে দেন স্টাম্প। মেহেদী হাসান তার তৃতীয় শিকার বানান কিউই অধিনায়ককে। নবম উইকেট হারালো নিউ জিল্যান্ড, ২৪০ রানে।
সোধি আউট হলেও মাঠ ছাড়তে দিলেন না লিটন
৪৬তম ওভারের তৃতীয় বল হাসান মাহমুদ ছোড়ার আগেই নন স্ট্রাইকার ব্যাটার ইশ সোধি পপিং ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান। বাংলাদেশি বোলার তা খেয়াল করে সঙ্গে সঙ্গে স্টাম্প ভেঙে দেন। তারপর আম্পায়ারকে আউটের আবেদন করেন। মারাইস এরাসমুস থার্ড আম্পায়ারকে রায় দিতে বলেন। তারপর আসে আউটের সিদ্ধান্ত। সোধি প্যাভিলিয়নের দিকে হাঁটতে লাগলেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে আবার তিনি ক্রিজে! লিটন দাস ও হাসান আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলে সোধিকে আবার ডেকে পাঠান। নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটার হাসানকে খুশিতে জড়িয়ে ধরেন। যদিও বৈধ আউট, তবু বাংলাদেশ আরেকবার সুযোগ দিলো সোধিকে।
স্বস্তি ফেরালেন মেহেদী
কাইল জেমিসন ও ইশ সোধি হাল ধরেছিলেন। সাত উইকেট পড়ার পর সাবলীল ব্যাটিংয়ে তারা স্কোর দুইশ পার করেন। তাদের জুটি হতাশ করছিল বাংলাদেশকে। অবশেষে দুজনকে বিচ্ছিন্ন করলেন মেহেদী হাসান। তার বলে তাকে ক্যাচ দিলেন কাইল জেমিসন। ২৮ বলে ৩ চারে ২২ রান করেন নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটার। তাদের জুটি ছিল ৪০ বলে ৩২ রানের।
নাসুমের ঘূর্ণিতে পড়লো সপ্তম উইকেট
ব্লান্ডেলকে ফেরানো গেলেও ইনিংস মেরামতে ভূমিকা রাখছিলেন কোল ম্যাককনচি ও ইস সোধি। ৩৮.১ ওভারে লেগ বিফোরে আউট করে ম্যাককনচির (২০) প্রতিরোধ ভেঙেছেন নাসুম আহমেদ। তাতে দুইশর আগে সাত উইকেট হারায় কিউই দল।
অবশেষে ব্লান্ডেলের প্রতিরোধ ভাঙলেন হাসান
নিকোলসের আউটের পরও প্রান্ত আগলে ছিলেন টম ব্লান্ডেল। তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বাংলাদেশের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ৩৩.৫ ওভারে ব্লান্ডেলের প্রতিরোধ ভেঙেছেন হাসান মাহমুদ। দারুণ এক ইয়র্কারে কিউই ব্যাটারকে বোল্ড করেছেন তিনি। তাতে ৬৮ রানে থেমেছেন ব্লান্ডেল। তার ৬৬ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ১টি ছয়।
রবীন্দ্রকে ফেরালেন মেহেদী
সেট হওয়া জুটি ভাঙার পরও ব্লান্ডেলকে আটকানো যায়নি। একপ্রান্ত আগলে আক্রমণাত্মকভাবে খেলছেন। তবে অপরপ্রান্ত এখনও নড়বড়ে করে রেখেছে বাংলাদেশ। নতুন নামা রাচিন রবীন্দ্রকে ((১০)) টিকতে দেয়নি। ৩০.১ ওভারে এই ব্যাটারকে এলবিডাব্লিউতে আউট করেছেন শেখ মেহেদী।
৯৫ রানের জুটি ভেঙেছেন খালেদ
পাওয়ার প্লেতে টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। ৩৬ রানে তুলে নিয়েছিল ৩ উইকেট। প্রতিরোধ গড়ে শুরুর সেই ধাক্কা সামাল দেয় টম ব্লান্ডেল-হেনরি নিকোলস জুটি। দলকে এগিয়েও নিতে থাকেন তারা। চতুর্থ উইকেটে এই জুটিতে ভর করেই একশ ছাড়িয়েছে দলের স্কোর। ব্লান্ডেল তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ানো ৯৫ রানের এই জুটি ভেঙে স্বস্তি ফিরিয়েছেন খালেদ আহমেদ। ২৬.২ ওভারে স্টাম্পের বাইরে এই পেসারের ব্যাক অব লেংথের বলে ব্যাট চালাতে গিয়ে গ্লাভসবন্দি হয়েছেন নিকোলস। তাতে এক রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি পাননি তিনি। ৬১ বলে নিকোলস ৪ চারে ৪৯ রানে ফিরেছেন।
পাওয়ার প্লেতে কিউইদের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ
নিউ জিল্যান্ড টস জিতে ব্যাটিং নিলেও তাদের শুরুতেই বিপদে ফেলেছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে তুলে নিয়েছে টপ অর্ডারের তিন উইকেট। তাতে শুরুটা প্রত্যাশা মতো হয়নি সফরকারীদের। ১০ ওভারে এসেছে ৪১ রান।
অভিষেক ওভারেই খালেদের উইকেট
মোস্তাফিজের দুই উইকেট শিকারে পাওয়ার প্লেতে বিপদে পড়ে গেছে নিউ জিল্যান্ড। তাদের ওপর চাপটা আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা খালেদ। প্রথম ওভার করতে এসেই ৭.৫ ওভারে তুলে নেন চ্যাড বাওয়েসের উইকেট (১৪)। ব্যাক অব লেংথের বলটা ফ্লিক করতে গিয়ে সফট ডিসমিসাল হয়েছেন কিউই ব্যাটার। স্কয়ার লেগে তার ক্যাচ নিতে ভুল করেননি তাওহীদ হৃদয়।
দুই ওপেনারকে ফেরালেন মোস্তাফিজ
উইল ইয়াংকে ফিরিয়ে সপ্তম ওভারে আবারও আঘাত হানেন মোস্তাফিজ। তার গতিময় বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ফিন অ্যালেন (১২)। তাতে পাওয়ার প্লেতে মোস্তাফিজের আঘাতে সাজঘরে ফিরেছেন কিউই দুই ওপেনার। প্রথম ওয়ানডেতেও মোস্তাফিজের শিকার ছিলেন অ্যালেন।
শুরুতে মোস্তাফিজের আঘাত
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক ছিল নিউ জিল্যান্ড। বিশেষ করে ফিন অ্যালেন বাউন্ডারি মেরে শুরুতে রান তোলায় মনোযোগী হয়েছেন। কিন্তু ২.৩ ওভারে দারুণ এক সুইং ডেলিভারিতে গত ম্যাচে ফিফটি করা উইল ইয়াংকে শূন্যতে গ্লাভসবন্দি করিয়েছেন মোস্তাফিজ। তাতে টানা দুই ম্যাচে শুরুতে অবদান রাখলেন কাটার মাস্টার। বিশ্বকাপের আগে যা আশার সঞ্চার করছে বাংলাদেশ শিবিরে।
টস হেরেছে বাংলাদেশ
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতেছিল বাংলাদেশ। লাভ হয়নি যদিও। ম্যাচটা বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। মিরপুরে দ্বিতীয় ম্যাচেও বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মাঠে নামছে দুই দল। আশার কথা টস হয়েছে যথা সময়েই। শুরুতে টস ভাগ্যে হেসেছে নিউ জিল্যান্ড। তারা প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন, নিউ জিল্যান্ড অপরিবর্তিত
কিউই দলে কোনও পরিবর্তন নেই। তবে বাংলাদেশ দলে দুটি পরিবর্তন এসেছে। ওয়ানডে অভিষেক হচ্ছে ১২ টেস্ট খেলা পেসার খালেদ আহমেদের। বাদ পড়েছেন নুরুল হাসান। তানজিম সাকিবের ইনজুরি থাকায় হাসান মাহমুদ একাদশে ফিরেছেন।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ, হাসান মাহমুদ, খালেদ আহমেদ মোস্তাফিজুর রহমান।
নিউ জিল্যান্ড একাদশ: ফিন অ্যালেন, উইল ইয়াং, চ্যাড বাওয়েস, হেনরি নিকলস, টম ব্লান্ডেল (উইকেটকিপার), রাচিন রবীন্দ্র, কোল ম্যাককনচি, ইশ সোধি, কাইল জেমিসন, লকি ফার্গুসন (অধিনায়ক), ট্রেন্ট বোল্ট।
মূল্যায়নের সিরিজে বাধা বৃষ্টি
বিশ্বকাপের আগে এটা হতে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, সৌম্য সরকারদের মূল্যায়নের মঞ্চ। কিন্তু প্রথম ওয়ানডেতে যে বাংলাদেশ কোনও ব্যাটিংই করতে পারেনি! বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও একই অবস্থা। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী এদিনও চোখ রাঙাচ্ছে বৃষ্টি! ফলে এই এদিনও পুরো ম্যাচ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় আছে।
মিরপুরে প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশ টস জিতে বোলিং নিলেও সেটার গুরুত্ব মাঠে প্রমাণ করে দেখিয়েছে। খেলা হয়েছে ৩৩.৪ ওভার। তাতে দুই দফা বৃষ্টি হানা দিয়েছে। প্রথমবার তো প্রায় ঘণ্টা দুয়েকের মতো! পরে তুমুল বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত করতে হয়েছে। তার আগে ১৩৬ রানে কিউইদের ৫ উইকেট নিতে পারে বাংলাদেশ দল। কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমান নতুন বলে পাওয়ার প্লেতে কিউইদের দুই উইকেট তুলে ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ক্যারিয়ারে ৯০ ইনিংসে এমনটা করতে পেরেছেন মাত্র ৪বার! ফলে বিশ্বকাপের আগে এটা আশার সঞ্চার করেছে বাংলাদেশ শিবিরে। পরে উইল ইয়াং ও হেনরি নিকোলসের ৯৭ রানের জুটি ভেঙে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
বামহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদও কম ছিলেন না। বৃষ্টি নামার আগে এক ওভারে জোড়া ধাক্কায় সফরকারীদের এলোমেলো করে দিয়েছিলেন। তাদের ওপর আরও চেপে বসার মুহূর্তেই শুরু হয় বর্ষণ।